ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট হবে কি না! ঠিক করে দিলেন বাংলার ‘মহারাজা নন্দকুমার’

লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ইউরোপে ফিরে আসার পরও তার ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল হয়েছিল সে ক্ষেত্রে কেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের হবে না!

ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট হবে কি না! ঠিক করে দিলেন বাংলার 'মহারাজা নন্দকুমার'
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Feb 11, 2021 | 9:21 PM

ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ইমপিচমেন্ট কি সাংবিধানিক? সেনেটে শুনানি শুরু হওয়ার আগেই উঠেছিল এই প্রশ্ন। সেখানে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে বিতর্ক চলার পর ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হয় সেনেটে ট্রাম্পের ট্রায়াল হওয়ার কথা। আর এখানেই নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বাংলার ইতিহাস। বিতর্ক চলাকালীন ট্রাম্পের আইনজীবীদের পাল্টা দিতে গিয়ে সংসদের ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার রাসকিন তুলে ধরেন বাংলার ইতিহাসের প্রসঙ্গ।

সেনেটে মহারাজা নন্দকুমার হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে সওয়াল করেন রাসকিন। ট্রাম্পের আইনজীবীদের সওয়াল ছিল, ট্রাম্প আর প্রেসিডেন্ট নেই। সে ক্ষেত্রে তিনি একজন সাধারণ নাগরিক। একজন সাধারণ নাগরিকের কেন ইমপিচমেন্ট হবে? এই সওয়ালই করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী। তখনই রাসকিন তুলে আনেন বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল লর্ড হেস্টিংসের কথা। রাসকিন বলেন, “মার্কিন সংবিধান অনেকাংশেই পুষ্ট হয়েছে ব্রিটিশ সংবিধান থেকে।” তিনি জানান, ব্রিটিশ ভারতে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ইউরোপে ফিরে আসার পরও তাঁর ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে কেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের হবে না! এই প্রশ্নটাই ছুড়ে দেন রাসকিন। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ফাঁসি হয়েছিল মহারাজা নন্দকুমারের। সেই আদেশ দিয়েছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস।

আরও পড়ুন: পর্ন দেখিয়ে ধর্ষণ, জেলে অকথ্য অত্যাচার মানবাধিকার কর্মীকে

১৭৮৫ সালে ইস্তফা দিয়ে ব্রিটেনে ফিরে গিয়েছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তারপর মহারাজা নন্দকুমার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হন তিনি। সেই নিয়ে ট্রায়ালের পর দোষী সাব্যস্ত হননি হেস্টিংস, কিন্তু ট্রায়ালের মুখে পড়তে হয়েছিল। এ রকম একাধিক যুক্তি উঠে আসার পর সেনেটেও ট্রাম্পকে ট্রায়ালের মুখে পড়তে হয়েছে। সেনেটেরদের বেশিরভাগ ভোটই গিয়েছে ট্রাম্পের বিপক্ষে। যার ফলে শুরু হয়েছে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল। আর এই শুনানির পর ওয়াকিবহাল মহলে একটা কথা উঠছে যে ওয়ারেন হেস্টিংসের ইমপিচমেন্টে যেমন প্রত্যক্ষ দায় ছিল নন্দকুমারের, তেমনই ট্রাম্পের ট্রায়ালেও পরোক্ষ দায়ী মহারাজা নন্দকুমার।