এক সেকেন্ডেই বিদ্যুৎ পরিষেবা শূন্যে, অন্ধকারে ডুবল পাকিস্তান
স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪১ নাগাদ সিন্ধ এলাকার গুড্ডু পাওয়া প্ল্যান্টে কিছু সমস্যা দেখা যায়। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার কম্পাঙ্ক (Power Frequency) এক সেকেন্ডেই ৫০ থেকে শূন্যে পৌছে যায়, ফলে সম্পূর্ণ পাওয়ার প্ল্যান্ট (Power Plant)-টিই বন্ধ হয়ে যায়।
ইসলামাবাদ: অন্ধকারে তলিয়ে গেল পাকিস্তান (Pakistan)। শনিবার আচমকাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় করাচি, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার সহ ১১৮টি শহর। তবে শুধু বিদ্যুৎ সংযোগই নয়, মোবাইল টাওয়ার ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় পাকিস্তান। বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে রবিবার সকাল বা দুপুর অবধি সময় লেগে যেতে পারে, এমনটাই জানানো হয়েছে সেদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফ থেকে।
ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪১ নাগাদ সিন্ধ এলাকার গুড্ডু পাওয়া প্ল্যান্টে কিছু সমস্যা দেখা যায়। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার কম্পাঙ্ক (Power Frequency) এক সেকেন্ডেই ৫০ থেকে শূন্যে পৌছে যায়, ফলে সম্পূর্ণ পাওয়ার প্ল্যান্ট (Power Plant)-টিই বন্ধ হয়ে যায়।
NTDC system tripped. It will take sometime before everything gets back to normal. #blackout #electricity
— Office of Deputy Commissioner Islamabad (@dcislamabad) January 9, 2021
আরও পড়ুন: ভারত থেকে জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখকে ‘পৃথক’ করল হু, ‘চিনের হাত’ বলছেন প্রবাসী ভারতীয়রা
ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শফাকত জানান, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ডেসপ্যাচ কোম্পানির বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় গোটা পাকিস্তানেই বিদ্যুৎ পরিষেবায় এর প্রভাব পড়ে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে।
পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আয়ুব খানও টুইট করে বলেন, “আচমকা বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ায় দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া শুরু হতেই সেই বিষয়েও টুইট করে জানাতে থাকেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এদিকে টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে থাকে “হ্যাশট্যাগ ব্ল্যাকআউট” কথাটি।
আরও পড়ুন: দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.৪২ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ