Salman Rushdie: লেবাননে গিয়েই বদলে গিয়েছিল রুশদির হামলাকারী, হাদি মাতারের পাশে নেই তার পরিবার
Salman Rushdie attacker Hadi Matar: ২০১৮ সালে লেবাননে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সালমান রুশদির হামলাকারী হাদি মাতার। তারপরই তার চরিত্রে বড় বদল এসেছিল বলে জানিয়েছেন তার মা।
ওয়াশিংটন: ২০১৮ সালে লেবানন সফরে গিয়েছিল লেখক সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাত করা হাদি মাতার। ২৪ বছর বয়সী নিউ জার্সির ওই ব্যক্তির মা জানিয়েছেন, তারপরই তার মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে এক বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন সালমান রুশদি। আচমকা ছুটে মঞ্চে উঠে লেখকের ঘাড়ে ও পেটে অন্তত ১০বার ছুরিকাঘাত করেছিল সে। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা এবং হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন অনুসারে হাদি মাতারের মা সিলভানা ফারদোস জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে লেবাননে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তাঁর ছেলে। তারপরই সে অত্যন্ত বদমেজাজি এবং অন্তর্মুখী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি আশা করেছিলাম ও স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার, ডিগ্রী নিয়ে চাকরি নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হবে। কার পরিবর্তে লেবানন থেকে ফেরার পর থেকে ও নিজেকে বেসমেন্টে বন্দি করে রাখত। ও অনেক বদলে গিয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ও আমার সঙ্গে বা ওর বোনদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।”
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক লেবানিজ পরিবারে জন্ম হয়েছিল হাদি মাতারের। তার মা বলেছেন, মাতার তাঁকে বেসমেন্টে ঢুকতে দিত না। নিজেকে সেখানেই সারাদিন আটকে রাখত। দিনের বেলা সে ঘুমোতো। রাতে জেগে থাকত। সম্প্রতি তার ধর্মের প্রতিও মনোযোগ বেড়েছিল। এমনকি, তার মা কেন তাকে ধর্মের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করেছে, সেই নিয়ে মায়ের সঙ্গে তর্কও করেছিল। ছোটবেলাতেই কেন তার মা তার সঙ্গে ইসলামের পরিচয় করিয়ে দেননি, তা নিয়ে রাগ ছিল তার মনে।
Photos & information have emerged about the Muslim extremist suspect accused of repeatedly stabbing author Salman Rushdie (he was accused of blasphemy) in western New York. Suspect Hadi Matar, 24, of Fairview, NJ, had multiple posts in support of Iran & Shia Islam on Facebook pic.twitter.com/b1cGxm00Qc
— Andy Ngô ?️? (@MrAndyNgo) August 12, 2022
সিলভানা ফারদোস আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁর মেয়ে তাঁকে রুশদির উপর হামলার খবর দিয়েছিল। তার আগে তিনি রুশদির নামও শোনেননি বলে দাবি করেছেন ফারদোস। তিনি বলেন, “আমি কখনও তাঁর কোনও বই পড়িনি। আমি জানতামই না যে এরকম একজন লেখক আছেন। আমি জানতাম না যে, আমার ছেলে কখনও তার বই পড়েছে,” মিসেস ফরদোস বলেন।
তিনি আরও বলেছেন, তাঁদের পরিবার হাদি মাতারের পাশে দাঁড়াবে না। ফারদোস এফবিআইকে বলেছেন, হাদি মাতারের সঙ্গে তিনি আর কোনওদিন কথা বলবেন না। হাদিকে দোষী বলেই মনে করেন তিনি। ফারদোস আরও বলেছেন, “আমার আরও দুটি নাবালক আছে। আমায় তাদের কথা ভাবতে হবে। ওরাও বিরক্ত, হতবাক। আমরা ওকে (হাদি মাতার) ছাড়াই জীবনে এগিয়ে যাব।”
শনিবার হাদি মাতারকে মার্কিন আদালতে হাজির করেছিল এফবিআই। সে অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছে। মাতারের সোশ্যাল মিডিয়া অনুযায়ী সে ‘শিয়া চরমপন্থী’। যদিও মাতার এবং ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের সমর্থক। মাতারের মোবাইল ফোনের মেসেজিং অ্যাপে ২০২০ সালে নিহত ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেমানির ছবি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।