Salman Rushdie: রুশদির উপর হামলা প্রসঙ্গে ইরানের মন্তব্য ‘হাস্যকর’, কড়া জবাব ব্রিটেনের

Salman Rushdie: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "সলমন রুশদির উপর হামলার জন্য তাঁকেই দায়ী করার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে হাস্যকর।" তিনি আরও বলেন, "এটা শুধু তাঁর উপর হামলাই নয়। এই হামলা বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের উপর।"

Salman Rushdie: রুশদির উপর হামলা প্রসঙ্গে ইরানের মন্তব্য 'হাস্যকর', কড়া জবাব ব্রিটেনের
সলমন রুশদি। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 8:15 PM

লন্ডন : বিশিষ্ট লেখক সলমন রুশদির উপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে ইরানের বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছিল, এই হামলার জন্য দায়ী লেখক নিজেই। এবার সেই মন্তব্যের কড়া ভাষায় জবাব দিল ব্রিটেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র সোমবার ইরানের এই মন্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সলমন রুশদির উপর হামলার জন্য তাঁকেই দায়ী করার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে হাস্যকর।” তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু তাঁর উপর হামলাই নয়। এই হামলা বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের উপর। ব্রিটেন সরকার লেখক ও তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে। একইসঙ্গে গোটা বিশ্বে বাক স্বাধীনতার সামনে ঢাল হয়েও দাঁড়িয়ে থাকবে।”

প্রসঙ্গত, সলমন রুশদির উপর হামলার পর প্রথম সরকারি প্রতিক্রিয়ায় ইরানের তরফে সরকারি মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছিলেন, বাক স্বাধীনতা মানে রুশদি কোনও বিষয়ে অপমান করবেন এমন হতে পারে না। তিনি আরও বলেছিলেন, “সলমন রুশদির ওপর হামলার ঘটনার জন্য আমরা তাঁকে এবং তার সমর্থকদের ছাড়া অন্য কাউকে নিন্দা বা নিন্দার যোগ্য মনে করি না।” কানানির বক্তব্য ছিল, এই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করার অধিকার কারও নেই।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লেখক ও রাজনীতিকরা সলমন রুশদির উপর এই জঘন্য হামলার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রবিবার এই হামলার জন্য সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি বছরের পর বছর ধরে রুশদির বিরুদ্ধে হিংসায় উসকানি দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে সলমন রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বই প্রকাশের পরের বছরই ইরানের তৎকালীন সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন, রুশদি এবং বইয়ের প্রকাশকদের বিরুদ্ধে। পর অবশ্য ১৯৯৮ সালে ইরান সরকার জানিয়েছিল তারা এই ফতোয়াকে আর সমর্থন করে না। কিন্তু ২০১৯ সালে টুইটারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি টুইট করছিলেন রুশদির বিরুদ্ধে। তারপর টুইটার কর্তৃপক্ষ আয়াতুল্লাহর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছিল।