Nepal: মন্ত্রীদের গণ ইস্তফা, আরও চওড়া ‘প্রচণ্ড’ সরকারের ফাটল

Nepal Prachanda government: নেপালের ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে বিভেদ আরও গভীর হল। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পুষ্প কমল দহল 'প্রচন্ড'-এর মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নেপালের রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি।

Nepal: মন্ত্রীদের গণ ইস্তফা, আরও চওড়া 'প্রচণ্ড' সরকারের ফাটল
চওড়া হচ্ছে ফাটল, বিপাকে প্রচণ্ড মন্ত্রিসভা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 1:50 PM

কাঠমান্ডু: নেপালের ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে বিভেদ আরও গভীর হল। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পুষ্প কমল দহল ‘প্রচন্ড’-এর মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নেপালের রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন গণ ইস্তফা দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির মন্ত্রীরা। এদিন, মন্ত্রিসভা ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠকে বসেছিল পার্টির নেতারা। সেখানেই সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি। দলের সভাপতি রবি লামিছানে বলেছেন, “মন্ত্রীরা আজই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।”

গত মাসে নেপালি সুপ্রিম কোর্ট, রবি লামিছানের নেপালি নাগরিকত্ব “অবৈধ” বলে ঘোষণা করেছিল। বাতিল করা হয়েছিল তাঁর সাংসদ পদও। সেই থেকেই ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে বিভেদ শুরু হয়েছিল। শ্রম, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের মতো মন্ত্রক ছিল স্বতন্ত্র পার্টির হাতে। তাদের এক সদস্য স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। তবে এতে প্রচণ্ড সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাটানি পড়বে না। কারণ স্বতন্ত্র পার্টি জানিয়েছে, তারা মন্ত্রিসভা ত্যাগ করলেও, প্রচণ্ড সরকারকেই সমর্থন করবে।

২০২২-এর নভেম্বরের নেপালের সাধারণ নির্বাচনে চমকে দেওয়া ফল করেছিল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই ২০টি আসন জিতে ২৭০ আসনের নেপাল সংসদে চতুর্থ বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল রবি লামিছানের দল। নেপালের রাজধানীতে বিকল্প শক্তি এবং জনগণের আশার নয়া উত্স হিসেবে উঠে এসেছিল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র দল। প্রচণ্ড সরকারে অংশ নেওয়ার পর, রবি লামিছানেকে দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও করা হয়েছিল। কিন্তু, গত ২৭ জানুয়ারি নেপালি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বদলে যায় সব কিছু।

তদন্তে দেখা যায়, লামিছানের কাছে একইসঙ্গে মার্কিন এবং নেপালি পাসপোর্ট রয়েছে। ফলে তাঁর নেপালি নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এর জেরে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট আরএসপি চেয়ারম্যান রাবি লামিছনেকে বিধায়ক হিসাবে এবং দলীয় পদ থেকে অপসারণ করেছিল। আদালত বলে, সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি নাগরিকত্বের বেআইনি নথি পেশ করেছিলেন।

দুদিনের মধ্যেই অবশ্য নেপালি নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধার করেছিলেন রবি লামিছানে। এরপরই, প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন তিনি। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহাল করার দাবি জানান তিনি। দাবি না মানা হলে, ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তবে, তাঁর দাবি শেষ পর্যন্ত মেনে নেননি নেপালি প্রধানমন্ত্রী।