China’s Chang’e-5 moon sample: এই ‘হিরে’ পৃথিবীতে নেই, চাঁদে গিয়ে নতুন খনির সন্ধান পেল চিন? দেখুন সেই ‘হিরে’

China's Chang'e-5 moon sample: চাঁদের বুকে কি হিরের সন্ধান পেল চিন? চেং'এ - ৫ মহাকাশযান চাঁদ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছিল, তার মধ্যে মিলল বর্ণহীন কলমাকার এই স্ফটিক।

China's Chang'e-5 moon sample: এই 'হিরে' পৃথিবীতে নেই, চাঁদে গিয়ে নতুন খনির সন্ধান পেল চিন? দেখুন সেই 'হিরে'
চাঁদ থেকে হিরে!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 11:41 AM

বেজিং: চাঁদের বুকে কি হিরের সন্ধান পেল চিন? না, পুরোপুরি হিরে না হলেও, চাঁদে একটি বর্ণহীন কলমাকার স্ফটিক বা হীরার মতো দেখতে, সম্পূর্ণ নতুন একটি খনিজ আবিষ্কার করল তারা। চিনের চেং’এ – ৫ মহাকাশযান চাঁদ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছিল, তার মধ্যেই এই নয়া খনিজের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চন্দ্র অভিযান সম্পূর্ণ করে, পৃথিবীতে ফিরে এসেছিল চিনের চেং’এ – ৫ চন্দ্র অনুসন্ধান মহাকাশযানটি। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল চাঁদের বিভিন্ন নমুনা।

নয়া খনিজটির নাম দেওয়া হয়েছে চেংয়েসাইট – (ওয়াই)। হীরার মতো স্বচ্ছ স্ফটিকটিকে নতুন খনিজ বলে স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক খনিজ সংস্থা বা আইএমএ-ও। চিনের ঐতিহ্যবাহী মধ্য-শরৎ উৎসবের চন্দ্র দিবসের এক দিন আগে, চিনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন এবং পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই নয়া খনিজ আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে। চেং’এ – ৫ মহাকাশযানের আনা চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনাগুলির মধ্য থেকে এই নয়া খনিজটিকে আবিষ্কার করেছে বেজিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইউরেনিয়াম জিওলজি। এটি এখনও পর্যন্ত চাঁদের বুকে পাওয়া ষষ্ঠ খনিজ পদার্থ। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে, চিন চাঁদে এই সম্পূর্ণ নতুন খনিজ পদার্থের সন্ধান পেল।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চেংয়েসাইট – (ওয়াই) একটি নতুন ধরনের ফসফেট খনিজ। বেজিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইউরেনিয়াম জিওলজির একটি গবেষণা দলের মতে, এই খনিজের একটি একক স্ফটিক কণার ব্যাস প্রায় ১০ মাইক্রন, অর্থাৎ গড়পড়তা মানুষের চুলের ব্যাসের এক-দশমাংশেরও কম। এর স্ফটিক গঠন বিশ্লেষণ করেই বোঝা গিয়েছে এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন খনিজ। তবে, এই নতুন খনিজ ঠিক কী ধরণের কাজে লাগতে পারে, তা এখনও জানা যায়নি। বস্তুত, চেংয়েসাইট – (ওয়াই) সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি রয়েছে।

এই নয়া খনিজ পদার্থটি ছাড়াও চেং’এ – ৫’এর আনা চন্দ্রের নমুনাগুলির মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য জিনিস খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা – হিলিয়াম- ৩। এটা কোনও নতুন আবিষ্কার নয়। তবে, চিনা গবেষকরা দাবি করেছেন, চন্দ্রের নমুনায় ভারি ঘনত্বে এই বিরল আইসোটোপটি পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীতে এই আইসোটোপটি খুবই কম পরিমাণে পাওয়া যায়। এতদিন অনুমান করা হত, এটি চাঁদে প্রচুর পরিমাণে আছে। চিনের আবিষ্কারে এই বিষয়ে নিশ্চয়তা মিলেছে। পারমাণবিক চুল্লিগুলিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে হিলিয়াম – ৩’কে। কোনও তেজস্ক্রিয়তা এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার ঝুঁকিও নেই। পারমাণবিক চুল্লির পাশাপাশি হিলিয়াম-৩ মহাকাশযানের জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ, চাঁদ থেকে হিলিয়াম-৩ নিষ্কাশন করা গেলে, ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে মহাকাশযানগুলি চাঁদ থেকেই জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারবে।