Bizarre: গোলাপি আলোয় ঢাকল আকাশ, সৌজন্যে গাঁজা চাষ! রহস্যটা কী?
Australian town: মেঘলা আকাশে এ রকম আলোর ছটা দেখে শহরবাসীর মধ্যে কৌতুহলের শেষ ছিল না। সকলেই ভাবতে থাকেন কী থেকে এল এই আলো।
মেলবোর্ন: অস্ট্রেলিয়ার ছোট্ট শহর মিলদুরা। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানকার আকাশ ভরে ছিল গোলাপি আলোর ছটায়। আলোর ছটা আকাশের এক দিক থেকে অন্য দিকে নড়ছিলও। হঠাৎ শহরের আকাশে এ রকম আলো দেখতে পেয়ে তো শহরবাসীরা অবাক। অনেকেই সেই অদ্ভুত ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দি করেন। মেঘলা আকাশে এ রকম আলোর ছটা দেখে শহরবাসীর মধ্যে কৌতুহলের শেষ ছিল না। সকলেই ভাবতে থাকেন কী থেকে এল এই আলো। গোলাপি ছটায় ঢেকে যাওয়া আকাশের ছবি অনেকেই পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কোথা থেকে আসছে এই আলো? এর পিছনে অ্যালিয়েনের সংযোগ রয়েছে। এ রকম কথাও ভেসে এসেছিল নেটিজেনদের আলোচনায়। বিষয়টি নিয়ে যখন জলঘোলা বাড়ছিল তখনই জানা গেল এই আলোর ছটার উৎস। ওই শহরে থাকা একটি ওষুধ কোম্পানির পোস্ট থেকে নিরসন হল সমস্ত জল্পনার।
অস্ট্রেলিয়ার মিলদুরা শহরে রয়েছে ওষুধ প্রস্তুক কারক সংস্থার ফ্যাক্টরি। কান গ্রুপ নামের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার একটি গাঁজাচাষের ফার্ম রয়েছে মিলদুরায়। সেখানেই ওষুধ তৈরির জন্য গাঁজা চাষ করা হয়। গাঁজা গাছের বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আলোর দরকার হয়। বিশেষ কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো গাঁজা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সে জন্যই বাণিজ্যিক ভাবে গাঁজা চাষের ফার্মে অনেক রকম আলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সে রকমই আলো বুধবার সন্ধ্যায় আলোর পরীক্ষা চলছিল ওই গাঁজা ফার্মে। সেই আলোতেই ভরে উঠেছিল মিলবুরার আকাশ।
আলোর উৎস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিলবুরাবাসীর কৌতুহল বাড়তেই কান গ্রুপ নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে লিখেছে, “আমাদের নতুন চাষের জায়গায় আলোর পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সেই আলো ছড়িয়ে পড়েছিল মিলবুরার আকাশ। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই আলো সূর্যরশ্মির ছটা বা বহির্জগতের আলো নয়।” কান গ্রুপ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওষুধ উৎপাদন সংস্থা যারা মেডিক্যাল প্রয়োজনে অনুমতি ভিত্তিতে গাঁজার চাষ করে থাকে।