Dinesh Gunawardena: প্রয়োজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সহপাঠী দীনেশ গুণবর্ধনেকেই নিযুক্ত করলেন বিক্রমসিঙ্ঘে
Sri Lanka New Prime Minister: চলতি সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। এখন তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হল নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভা গঠন।
কলম্বো: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এবার হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী বাছাইও। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হল দীনেশ গুণবর্ধনেকে। এদিন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্গঘে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেন। কলম্বোর ফ্লাওয়ার রোডে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দাঁড়িয়েই তিনি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। মাহিন্দা রাজাপক্ষে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকেই বসানো হয়েছিল। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্তকরা হল দীনেশ গুণবর্ধনেকে।
এক সপ্তাহের মধ্যেই ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পটভূমি। আর্থিক সঙ্কটে ডুবে থাকা দেশ ছেড়ে খোদ প্রেসিডেন্টই পালিয়ে যাওয়ায়, সাময়িকভাবে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। পরে সিঙ্গাপুর থেকে গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইস্তফাপত্র পাঠালে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচন করা হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে। ফলে বর্তমানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই শূন্যপদ পূরণ করতেই দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ গুণেবর্ধনেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার আগে থেকেই দীনেশ গুণবর্ধনের নাম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভেবে রেখেছিলেন নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। শুধুমাত্র দক্ষ প্রশাসক বা প্রাক্তন মন্ত্রী হিসাবেই নন, গুণবর্ধনেকে স্কুলজীবন থেকেই চেনেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। তারা সহপাঠী ছিলেন। দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বিশ্বস্ত কাউকে পাশে চাই, সেই কারণেই তিনি ছোটবেলার বন্ধুকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাইছেন বলে সূত্রের দাবি।
চলতি সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। এখন তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হল নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভা গঠন। বৃহস্পতিবারই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানে সকল দলের মিলিত সহযোগিতাতেই সরকার চালানোর প্রস্তাব দেন তিনি। তবে বিরোধী দলগুলি এখনও অবধি এই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি বলেই জানা গিয়েছে। যতক্ষণ অবধি বাকিরা সম্মতি জানাচ্ছেন না, ততক্ষণ পুরনো মন্ত্রিসভা নিয়েই তিনি সরকার চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা সাজিদ প্রেমদাসা বৃহস্পতিবারই টুইট করে বলেন, ” সাধারণ মানুষকে এই দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে আমরা বিরোধী দল হিসাবে সরকারকে যাবতীয় সাহায্য করব। রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানীদের মন্ত্রিত্ব দেওয়ার থেকে বর্তমানে সাধারণ মানুষের স্বার্থে একমত হওয়া অনেক বেশি জরুরি।”