AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sri Lanka Crisis: ভাঙল তাঁবু-ব্যারিকেড, চলল দেদার লাঠি! ‘সময়ের আগেই’ বিক্ষোভকারীদের উৎখাত ঘিরে উত্তপ্ত শ্রীলঙ্কা

Sri Lanka Crisis: বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের নির্দেশেই তাদের এভাবে উৎখাত করা হচ্ছে। এটাই প্রমাণ যে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেও গোতাবায়ার মতোই ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন।

Sri Lanka Crisis: ভাঙল তাঁবু-ব্যারিকেড, চলল দেদার লাঠি! 'সময়ের আগেই' বিক্ষোভকারীদের উৎখাত ঘিরে উত্তপ্ত শ্রীলঙ্কা
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ পুলিশ-সেনাবাহিনীর।
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 8:51 AM
Share

কলম্বো: বৃহস্পতিবারই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। আর শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বিক্ষোভকারীদের হটানোর কাজ শুরু করল পুলিশ ও সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে শপথ নেওয়ার পরই শুক্রবার ভোররাত থেকে কলম্বোয় বিক্ষোভকারীদের রাস্তাঘাট থেকে সরাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ভেঙে দেওয়া হয় সমস্ত অস্থায়ী তাঁবুও।

বিগত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চললেও, তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয় গত কয়েক সপ্তাহে। মাসের পর মাস চরম আর্থিক সঙ্কটে ডুবে থেকে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে লঙ্কাবাসীর। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে তারা ঢুকে পড়েন পলাতক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদপমো বাড়িতে। এবার নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসতেই শুরু হল তাদের হটানোর কাজ। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজ দুপুরের মধ্যেই প্রেসিডেন্টের সচিবলয় ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল বিক্ষোভকারীদের। কিন্তু তাদের সেই সময়টুকুও না দিয়ে ভোররাত থেকে উৎখাত অভিযান শুরু করে পুলিশ-সেনাবাহিনী।

প্রেসিডেন্টের দফতরের বাইরে বিক্ষোভকারীরা যে ব্যারিকেড দিয়ে প্রবেশের পথ আটকে রেখেছিল, তা সরিয়ে দেয় সশস্ত্র বাহিনী। বিক্ষোভকারীরা যে অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছিলেন বিগত কয়েকদিন ধরে, সেগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়। মাইকে ঘোষণা করা হয় যে, বিক্ষোভকারীরা যেন পিছু হটেন এবং এক কোণায় জড়ো হন। যারা পুলিশের নির্দেশ মানতে চাননি, তাদের আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের নির্দেশেই তাদের এভাবে উৎখাত করা হচ্ছে। এটাই প্রমাণ যে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেও গোতাবায়ার মতোই ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন। এই কারণেই রনিলকে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাননি তারা। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও পুলিশ ও সেনার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন। দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। এরপরই  রবিবার তিনি দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে।