Taiwan: ‘হাতের পুতুল নই’, ভারতের সঙ্গে সখ্য নিয়ে চিনকে মুখের উপর জবাব তাইওয়ানের
এই টিভি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ নিয়ে মদত দিচ্ছে ভারত। এমনকি ‘ওয়ান চাইনা পলিসি’ অস্বীকারের অভিযোগ তোলে ভারতের বিরুদ্ধে। এই নীতিতে মান্যতা দেয় বলেই তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতের নেই বলেও দাবি করে চিন। চিনের এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিল তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রক।
তাইপেই: ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোশেফ য়ু। তা নিয়ে প্রবল আপত্তি তোলে চিনা দূতাবাস। রীতিমতো চোখ রাঙানোর ঢঙে ভারত এবং তাইওয়ানের দিকে আঙুল তোলে বেজিং। বলে এই টিভি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ নিয়ে মদত দিচ্ছে ভারত। এমনকি ‘ওয়ান চাইনা পলিসি’ অস্বীকারের অভিযোগ তোলে ভারতের বিরুদ্ধে। এই নীতিতে মান্যতা দেয় বলেই তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতের নেই বলেও দাবি করে চিন। চিনের এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিল তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, তাইওয়ান চিনের হাতের পুতুল নয়।
তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়ে চিনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলে, “২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় টেলিভিশনে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে সওয়াল করার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটা গুরুতরভাবে এক চিন নীতি ভঙ্গ করছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়।” এক চিন নীতির মাধ্যমে চিন দাবি করে, গোটা বিশ্বে একটি চিন সরকার। এবং তাইওয়ানও তাদের দেশের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে চিন।
চিনের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তাইওয়ান। চিনের এই বিবৃতির পর তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “ভারত এবং তাইওয়ান, কেউই পিপলস রিপাবলিক অব চিনের অংশ নয়। আমরা চিনের হাতের পুতুল নই। আমরা দুই দেশই গণতান্ত্রিক দেশ এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমে বিশ্বাসী।”