Nawaz Sharif: ফের পাকিস্তানের মসনদে নওয়াজ শরিফ? বড় রায় পাক সুপ্রিম কোর্টের

Pakistan Election: দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তরা আজীবন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না বলে আগে রায় দিয়েছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই পানামা মামলায় দোষী সাব্যস্ত নওয়াজ শরিফের এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছে। এবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল পাক সুপ্রিম কোর্ট।

Nawaz Sharif: ফের পাকিস্তানের মসনদে নওয়াজ শরিফ? বড় রায় পাক সুপ্রিম কোর্টের
নওয়াজ শরিফ। ফাইল ছবিImage Credit source: AP
Follow Us:
| Updated on: Jan 08, 2024 | 8:13 PM

ইসলামাবাদ: চলতি বছরই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। নির্বাচন কমিশন শরিফের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেও সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলি লিগ-নওয়াজ (PML-N)। অবশেষে সুপ্রিম-রায়ে স্বস্তি মিলল। সাজাপ্রাপ্তদের উপর থেকে আজীবন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারার নির্দেশ খারিজ করে দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে কি ফের পাকিস্তানের মসনদে দেখা যাবে নওয়াজ শরিফকে? এবার এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। অতীতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আজীবন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ফয়েজ ঈসা এই নির্দেশিকাটি পড়ে জানিয়েছেন। আদালতের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে নওয়াজ শরিফের নির্বাচনে লড়াইয়ে আর কোনও বাধা রইল না।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তরা আজীবন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না বলে আগে রায় দিয়েছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই পানামা মামলায় দোষী সাব্যস্ত নওয়াজ শরিফের এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছে। এরপরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ৭ বিচারপতির বেঞ্চ। দীর্ঘ আলোচনার পর সবদিক খতিয়ে দেখে এদিন প্রধান বিচারপকি ফয়েজ ঈসা জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় ও নির্বাচনী সংশোধনী আইন ২০১৭ একসঙ্গে জারি থাকতে পারে না।

নির্বাচনী সংশোধনী আইন ২০১৭ আইন অনুসারে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে লড়াইয়ে অযোগ্য ঘোষণার মেয়াদ আজীবন থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়। পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট এই সংশোধনী করে। মূলত, নওয়াজ শরিফকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্যই এই সংশোধনী বলে পাক রাজনৈতিক মহলের মত। এই সংশোধনী মোতাবেকই এদিন রায় শোনাল পাক সুপ্রিম কোর্ট। নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইতিমধ্যে ৫ বছর সময় পেরিয়ে এসেছেন। তাই তাঁর আর নির্বাচনী লড়াইয়ে কোনও বাধা রইল না।

তবে নওয়াজ শরিফ ছাড়পত্র পেলেও রেহাই নেই পিটিআই প্রধান ইমরান খানের। তিনি সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাই ২০২৮ সালের আগে তিনি নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, নওয়াজ শরিফের সামনের ময়দান অনেকটাই ফাঁকা। আরও একবার পাকিস্তানে বসার সুযোগ পেতে চলেছেন তিনি।