Pakistan Floods: পাকিস্তানের দিকেও কি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে মোদী সরকার? উচ্চ মহলে জোর আলোচনা
Pakistan Flood: পাকিস্তানের বিপদে সম্ভবত সেই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিধ্বংসী বন্যায় ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে ১০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নয়া দিল্লি: সীমান্তে পাক সেনা যতই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করুক, যতই ইসলামাবাদ ভারত বিরোধী জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাক, পাকিস্তানের বিপদে সেই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিধ্বংসী বন্যায় ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে ১০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এই অবস্থায় পাকিস্তানকে সাহায্য প্রদানের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে। আরও বলা হয়েছে, এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একদিন আগেই সোমবার পাকিস্তানে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাজেই, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সাউথ ব্লক, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে ভারতের সাহায্য চাওয়া হয়নি। তবে, তাঁদের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করছে ইসলামাবাদ। এমনিতেই চরম মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করছিল পাকিস্তান, তার উপর এই বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়েছে। চাল-ডাল শাক-সবজির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, সেই দেশের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, “সরকার ভারত থেকে শাকসবজি এবং অন্যান্য ভোজ্য পণ্য আমদানি করার কথা বিবেচনা করতে পারে। কারণ বন্যা সারা দেশে ফসলের ক্ষতি করেছে। আমাদের স্থল সীমান্তগুলি থেকে কিছু সবজি পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আমদের যে ধরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তার কারণেই আমাদের এটা করতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি মানুষের পিঠ ভেঙে দিয়েছে।”
এর আগে সোমবারই টুইট করে পাকিস্তানে বন্যার কারণে নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, “পাকিস্তানে বন্যার কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমি ব্যথিত। আমরা নিহতদের পরিবার, আহতদের এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি এবং দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের কামনা করছি।” তার পরদিনই সরাসরি সহায়তা প্রদানের কথা শোনা গেল। তবে, বিপর্যয়ের সময়, ভারত যে এই প্রথম পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তা নয়। এর আগে, ২০১০ সালের বন্যা এবং ২০০৫ সালের ভূমিকম্পের সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল।
তবে, এই বছর বর্ষায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে, তা গত ৩০ বছরের সহ রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আর এই বিপুল বৃষ্টিপাতের কারণেই সিন্ধ এবং কাবুল নদী-সহ পাকিস্তানের অধিকাংশ নদীতেই জল এখন বন্যার সীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে। পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় অন্তত ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ঘর-বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে, আর আরও ২ লক্ষ ১৮ হাজার বাড়ি বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭ লক্ষ ৯৪ হাজারেরও বেশি গবাদি পশুর। আর ফসল নষ্ট হয়েছে ২০ লক্ষ হেক্টর জমির। এই কারণেই সেই দেশে এখন তীব্র খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবারই বন্যা কবলিত পাকিস্তানে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে চিন।