Pakistan Flood: মার্চে ছিল ঘিঞ্জি জনবসতি, আজ বাড়ির চিহ্নও নেই! বন্যার বীভৎসতার জানান দিচ্ছে উপগ্রহ চিত্র
Pakistan Flood: মার্চ মাসেই যেখানে ঘিঞ্জি জনবসতি ছিল, বর্তমানে সেখানে শুধুই জল। আগে যে এখানে মানুষ বসবাস করত, তাও বোঝার জো নেই, কারণ বন্যার জলে সবকিছুই ধুয়ে মুছে গিয়েছে।
ইসলামাবাদ: প্রতিবেশী দেশে যখন ভয়ঙ্কর খরা দেখা দিয়েছে, সেই সময়ই লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে আরেক দেশ। বিগত প্রায় তিন মাস ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরেই ডুবে গিয়েছে পাকিস্তান। দেশের তিন ভাগই বর্তমানে জলের তলায়। বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার করেছে, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ কোটি ৩৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। শেষবার ২০১০ সালে এমন ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েছিল পাকিস্তান। ওই বছর বন্যায় দুহাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এবারের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সে দেশের বাসিন্দারা।
গত জুন মাস থেকে যে লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাকিস্তানে, তার জেরেই এই ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ চাষের জমি ও তার সঙ্গে উৎপাদিত ফসল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। কমপক্ষে কয়েশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দেশের উত্তরের পাহাড়ি এলাকার প্রচুর গ্রামও বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। খাইবার পাখতুখাওয়া অঞ্চলের একটি বড় সেতুও ভেসে গিয়েছে বন্যার জলে।
ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্র। এক বছর আগের একই দিনের চিত্রের সঙ্গে চলতি বছরের ছবির তুলনা করাতেই প্রমাণ মিলেছে বন্যার ভয়াবহতার। মার্চ মাসেই যেখানে ঘিঞ্জি জনবসতি ছিল, বর্তমানে সেখানে শুধুই জল। আগে যে এখানে মানুষ বসবাস করত, তাও বোঝার জো নেই, কারণ বন্যার জলে সবকিছুই ধুয়ে মুছে গিয়েছে। দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমভাগ তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ মানুষ সেখানেই ভিড় জমাচ্ছেন। হাইওয়ে, রেললাইনের পাশেই নতুন করে ঘর-সংসার পেতেছেন।
একদিকে অর্থনীতির সঙ্কট, তার উপরে ভয়াবহ বন্যার জেরে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্যও আবেদন জানিয়েছে পাক প্রশাসন। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে ১৬ কোটি ডলারের জরুরি তহবিলের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধিরা স্বচক্ষে পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসবেন।