Imran Khan: ‘বিষ খাইয়ে মেরে ফেলবে ইমরানকে’, দুশ্চিন্তায় বুশরা বিবি, জানালেন বিশেষ আর্জি
Bushra Bibi: বুশরা বিবির দাবি, ইমরান খানের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে বিচার করে তাঁকে জেলে অন্তত বি-ক্লাস পরিষেবা দেওয়া উচিত। ইমরান অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট টিমেরও ক্যাপ্টেন ছিলেন, চিঠিতে এ কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইসলামাবাদ: জেলবন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তোশাখানা মামলায় (Toshakhana Case) দোষী সাব্যস্ত হতেই তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে ইমরান খানকে। পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছর নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। সম্প্রতিই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে জেলের নোংরা সেলে থাকতে পারছেন না তিনি। এবার তাঁর স্ত্রীও ইমরানের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তাঁর দাবি, জেলে ইমরান খানকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হতে পারে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি (Bushra Bibi) পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি আটক জেলে বন্দি ইমরানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওই জেলে ইমরানকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেই তিনি দাবি করেন। এমনকী, বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে যেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা হয়, সেই আবেদনও জানান বুশরা বিবি। চিঠিতে তিনি বলেছেন, “আমার স্বামীকে বিনা কোনও ব্যাখ্যায় আটক জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, আমার স্বামীকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা উচিত।”
বুশরা বিবির দাবি, ইমরান খানের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে বিচার করে তাঁকে জেলে অন্তত বি-ক্লাস পরিষেবা দেওয়া উচিত। ইমরান অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট টিমেরও ক্যাপ্টেন ছিলেন, চিঠিতে এ কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি অগস্ট মাসের ৫ তারিখ তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্য়স্ত হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান খান বিভিন্ন দেশ থেকে যে উপহারগুলি পেয়েছেন, তা বিক্রি করে দিয়েছেন, যা আইনবিরুদ্ধ। এরপরই তিন বছরের সাজা দেওয়া হয় ইমরান খানকে। পাঁচ বছর নির্বাচন থেকেও নির্বাসিত করা হয় পিটিআই প্রধানকে।