Srinagar-Sharjah flights: আকাশপথে বাধ সাধছে পাকিস্তান! ধাক্কা খেল কাশ্মীর থেকে নয়া উড়ান পরিষেবা

Pakistan: আকাশপথ ব্যবহার করতে না দেওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Srinagar-Sharjah flights: আকাশপথে বাধ সাধছে পাকিস্তান! ধাক্কা খেল কাশ্মীর থেকে নয়া উড়ান পরিষেবা
পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 6:21 PM

নয়া দিল্লি : কয়েক দিন আগেই কাশ্মীর (Kashmir) থেকে শ্রীনগর-শারজা (Shrinagar-Sharjah) বিমান পরিষেবার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ (Amit Shah)। আর সেই বিমান চলাচলের জন্য পাকিস্তানের (Pakistan) আকাশসীমা ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই অনুমতি দিতে নারাজ পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তরফে সেই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ষয়টি ইতিমধ্যে বিদেশ মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও জানানো হয়েছে।

গো ফার্স্টের শ্রীনগর থেকে শারজা যাওয়ার বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল না পাকিস্তান। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর গিয়ে আবারও শ্রীনগর-শারজা বিমান চলাচলের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই রুটে প্রায় ১১ বছর পরে বিমান চলতে শুরু করেছে। ২০০৯ সালে সেই রুটে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান চালানো হত। কিন্তু পরে সেই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের সেই রুটের ব্যপার শুরু হচ্ছিল।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘২০০৯-২০১০ সালে শ্রীনগর-দুবাই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানের ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছিল পাকিস্তান। আমি আশা করেছিলাম যে গো ফার্স্টের বিমানকে পাকিস্তান আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে ও তার দেওয়ার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক শুধরানোর ইঙ্গিত মিলবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেটা হল না। ‘

অন্যদিকে, পিডিপি নেত্রী তথা কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র প্রচারের অঙ্গ হিসেবে সেই বিমান চালু করা হয়েছিল। বাস্তবে কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীনগর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতিও যে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার, তা দেখে আমি অবাক।’

১১ বছর পর গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে শ্রীনগর থেকে শারজা রুটে বিমান পরিষেবা চালু হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের জেরে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খেল এই পরিষেবা। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারলে এই রুটের বিমানকে উদয়পুর, আমেদাবাদ, ওমান হয়ে শারজায় যেতে হবে। এর ফলে একদিকে যেমন যাত্রাপথের সময়সীমা বেশ কিছুটা বেড়ে যাবে, অন্যদিকে বাড়বে খরচও। স্বাভাবিকভাবেই এই রুটের বিমানের চাহিদা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিমানকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান। সেই রুট ধরেই জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে রোমে যান মোদী।

আরও পড়ুন : “১০০ কোটি টিকা দেওয়ার পরেও একটুও ঢিলেমি দিলে নতুন বিপদ আসতে পারে”, জেলাশাসকদের বৈঠকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর