‘ভারত-পাকিস্তানের সৌহার্দ্যের কাঁটা আরএসএস’, তাশখন্দে বসে এমনই বিস্ফোরক দাবি ইমরান খানের
Imran Khan: তালিবান প্রসঙ্গ উঠতেই পিঠ দেখিয়ে হাঁটা লাগান পাক প্রধানমন্ত্রী।
নয়া দিল্লি: পাকিস্তান-তালিবান সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েকদিনে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। উজবেকিস্তানে এক অনুষ্ঠানেও এ প্রশ্নের মুখে পড়ে রীতিমতো মুখ লুকোতে দেখা যায় তাঁকে। তবে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে, দু’ দেশের সম্পর্কের ‘জটিলতার’ জন্য দায়ী করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসকে।
মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে দু’দিনের এক সম্মেলনে অংশ নিতে তাশখন্দে গিয়েছেন ইমরান খান। সেখানেই সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এনএনআইয়ের প্রশ্ন ছিল, ‘আলাপ আলোচনা ও জঙ্গি কার্যকলাপ কি একসঙ্গে চলতে পারে?’ তারই জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা (পাকিস্তান) ভারতকে বহুবার বলেছি সভ্য প্রতিবেশিদের মতোই থাকতে চাই… কিন্তু কী করব? আরএসএসের মতার্দশ মাঝখানে বারবার চলে আসে।”
ইমরান খানের দাবি, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান মিলেমিশে বন্ধুর মতোই থাকতে চায়। কিন্তু আরএসএসের বিচারধারা এর মধ্যে ঢুকে পড়ে। আর তা অন্তরায় হয়ে ওঠে দু’দেশের সৌহার্দ্যের। এরপরই ইমরানের কাছে তালিবান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, তালিবানদের উপর কি ইমরান সরকারের কোনও রকম নিয়ন্ত্রণই নেই? কিন্তু কোনও মতেই সে প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি পাক প্রধানমন্ত্রী। সোজা হাঁটা দেন কনফারেন্স হলের লবি ধরে। ভারতীয় সাংবাদিক বার বার প্রশ্ন ছুঁড়লেও ইমরান ফিরে তাকাননি। তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের বলতে শোনা গিয়েছে ‘থ্যাঙ্ক ইউ!’
#WATCH Pakistan PM Imran Khan answers ANI question, ‘can talks and terror go hand in hand?’. Later he evades the question on whether Pakistan is controlling the Taliban.
Khan is participating in the Central-South Asia conference, in Tashkent, Uzbekistan pic.twitter.com/TYvDO8qTxk
— ANI (@ANI) July 16, 2021
ইতিমধ্যেই একাধিকবার আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি তালিবান-মদতের অভিযোগ তুলেছেন। কান্দাহারে তালিবানদের ইসলামাবাদই মদত দেয় বলেও সে দেশের তরফে অভিযোগ। তালিবানের দাপাদাপিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আফগানিস্তানে ঘরছাড়া। মেয়েদের নিরাপত্তা নেই দিনের বেলাও। নিজেরাই নিজেদের বাঁচাতে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন।
মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, গোটা আফগানিস্তানটাই দখলে নিয়ে নেবে তালিবান শক্তি। শুক্রবার রয়টার্সের চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির হত্যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কতটা শক্তি বাড়িয়েছে তারা। রাজনৈতিক মহল বলছে, যত যাই ঘটে যাক ইসলামাবাদ এখনও তালিবান প্রসঙ্গ উঠলে নীরবতাকেই ‘নিরাপদ’ বলে মনে করে। এদিন ইমরান খানের ভূমিকা আরও একবার সে তত্ত্বকেই জোরাল করল। আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: হাতের তালুতে আফগানিস্তান, ৬ মাসের মধ্যেই ইতিহাস পাল্টে দেবে তালিবান!