Shehbaz Sharif: ‘নওয়াজের সঙ্গে হওয়া অবিচার নিয়ে তো কেউ বলেনি?’, ‘লাডলা’ ইমরান জামিন পেতেই প্রশ্ন শাহবাজের

Imran Khan Arrest Update: শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, "যখন ও (ইমরান খান) আদালতে উপস্থিত হয়েছিল, তখন প্রধান বিচারপতি বলেন যে তোমায় দেখে ভাল লাগল। দুর্নীতির মামলায় এমন কথা বলা হচ্ছে।"

Shehbaz Sharif: 'নওয়াজের সঙ্গে হওয়া অবিচার নিয়ে তো কেউ বলেনি?', 'লাডলা' ইমরান জামিন পেতেই প্রশ্ন শাহবাজের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2023 | 9:02 AM

ইসলামাবাদ: অবশেষে স্বস্তি ইমরান খানের(Imran Khan)। আল কাদির ট্রাস্ট আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (Islamabad High Court) তরফে পিটিআই প্রধানকে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হয়। তার আগে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের তরফেও ইমরান খানের এই গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত বেজায় চটে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। শুক্রবার তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাদের ‘আদরের’ ইমরান খানকে ছাড় দিয়ে চলেছে। ইমরানের কারণে পাকিস্তানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তারপরও আদালতের এই সিদ্ধান্তকে দ্বিচারিতা বলেই অ্যাখ্যা দেন তিনি। 

মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালত চত্বর থেকে নাটকীয়ভাবে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্য়ুরো বা ন্যাব। এরপরই গোটা দেশে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, সিন্ধ প্রদেশ, পঞ্জাব সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা। বিভিন্ন সরকারি দফতর, বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। পুলিশ ও সেনার সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়।

বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে আদালতে তোলা হলে, শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, ইমরান খানের গ্রেফতারি অবৈধ ও বেআইনি। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইমরান। সেই আদালতের তরফেও দুই সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হয় ইমরান খানকে।

শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, “যখন ও (ইমরান খান) আদালতে উপস্থিত হয়েছিল, তখন প্রধান বিচারপতি বলেন যে তোমায় দেখে ভাল লাগল। দুর্নীতির মামলায় এমন কথা বলা হচ্ছে। যদি আপনারা নিজেদের আদরের মানুষের পক্ষই নিতে চান, তাহলে দেশে গরাদের অপর প্রান্তে থাকা সমস্ত ডাকাতদেরও মুক্তি দেওয়া উচিত। সকলকেই মুক্তি দিয়ে দেওয়া হোক।”

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের দাদা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে গ্রেফতারির পর কেন জামিন  দেওয়া হয়নি, সেই প্রসঙ্গ উঠতেই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নওয়াজকে যে অবিচারগুলি সহ্য় করতে হয়েছিল, সেই বিষয়ে কেউ কথা বলেননি। এই ধরনের দ্বিচারিতার কারণেই পাকিস্তানে ন্যায় বিচারের মৃত্যু হয়েছে।”