Bizarre: টিভির নেশা ঘোচাতে সারা রাত ধরে টিভির সামনে ছেলেকে বসিয়ে রাখলেন মা! তারপর…

China: টিভি দেখার নেশা প্রবল। বারবার বারণ করলেও কথা শোনে না ছেলে।

Bizarre: টিভির নেশা ঘোচাতে সারা রাত ধরে টিভির সামনে ছেলেকে বসিয়ে রাখলেন মা! তারপর...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 5:55 PM

বেজিং: সন্তানকে মানুষ করা সহজ কাজ নয়। এর জন্য বাবা-মায়েদের অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। সন্তান যদি কথা না শোনে, অবাধ্য হয় তাহলে বাবা-মায়ের সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু বাচ্চা যতই অবাধ্য হোক, তাই বলে শিশুদের যা খুশি শাস্তি দিতে পারেন না বাবা-মা। বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে কড়া নিয়ম রয়েছে। শিশুকে কঠোর শাস্তি দেওয়ায় সাজাও পেতে হয় বাবা-মাকে। চিনের এক দম্পতি নিজেদের অবাধ্য সন্তানকে সবক শেখাতে যা করেছেন তা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও ছড়িয়েছে বিস্তর।

চিনের ওই এক দম্পতির ছেলে। তার টিভি দেখার নেশা প্রবল। বারবার বারণ করলেও কথা শোনে না ছেলে। সম্প্রতি ছেলেকে বাড়িতে রেখে বাইরে কাজে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। ছেলেকে বলে গিয়েছিলেন স্নান করে পড়াশোনা করতে। হোমওয়ার্ক শেষ করতে। কিন্তু বাইরের কাজ সেরে ওই দম্পতি বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁদের ছেলে না করেছে স্নান, না করেছে হোমওয়ার্ক। বাবা-মা চলে যেতেই টিভি চালিয়ে বসে পড়েছিল সে। তার পর থেকে টিভিই দেখে গিয়েছে ক্রমাগত। তা দেখে তো বাবা-মা রেগে আগুন। এর পরই টিভি-র নেশা কাটাতে ছেলেকে শাস্তি দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। যে শাস্তি নিয়েই বিতর্ক ছড়িয়েছে ড্রাগনদের দেশে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নামের চিনের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই দম্পতি বাড়ি ফিরে এসে ছেলে টিভি দেখছে দেখেই রেগে যান। তবে রাগের বশে তাঁরা ছেলেকে মারধর করেননি। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় সবক শেখাতে চেয়েছেন। সে জন্যই সারা রাত ছেলেকে বসিয়ে রেখেছিলেনে টিভির সামনে। ভোর ৫টা অবধি তাঁকে টিভি দেখতেই বাধ্য করেছেন। ঘুমে চোখ লেগে এলেও ছেলেকে ঘুমাতে যেতে দেননি তাঁরা। সোফাতে বসিয়ে রেখেই বাধ্য করেছেন টিভির স্ক্রিনে চোখ রাখতে। বাবা-মায়ের শাস্তির এই ধরন নিয়ে বিকর্ত লাল ফৌজির দেশে।

সন্তান প্রতিপালন নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া আইন এনেছে চিন। গত বছরই সে দেশে চালু হয়েছে এই আইন। কোনও অভিভাবক যদি সন্তানের সঙ্গে ‘খুব খারাপ ব্যবহার’ করেন বা ‘অপরাধ’ করেন, তাহলে তাঁদের ফ্যামিলি এডুকেশন গাইডেন্স প্রোগ্রামের কোর্স করতে হবে। এমনকি গুরুতর অপরাধে শাস্তিও পেতে হতে পারে। তবে এই দম্পতির ক্ষেত্রে কী হয়েছে , তা অবশ্য জানা যায়নি।