ফাইল ছবি
সোমবার কাবুলের এক বাজার থেকে এক কিশোরকে আটক করে তালিবান সেনারা। জানা গিয়েছে, কিশোরের মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়। নির্দেশ আসে, দ্রুত যা যা গান আছে সব মুছে ফেলতে হবে। প্রথমে শুনতে চায়নি সে ছেলে। ব্যাস, শুরু হয় মারধোর। অবশেষে শাস্তি দিতে সেই ফোন কেড়ে নেয় তালিবানরা।
মহিলাদের অবস্থা তো আরও সঙ্গীন। আফগানিস্তানে আপাতত মেয়েদের কাজ করা নিষিদ্ধ। পড়াশোনা? সেটা সপ্তম শ্রেণির পর আর নয়। ছেলেদের জন্যও রয়েছে একাধিক ফতোয়ার ফিরিস্তি। কাবুলের এক মহিলা বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানাচ্ছেন, ভারতের সঙ্গে তাঁদের অবিচ্ছন্ন যোগাযোগ। যার অন্যতম মাধ্যম ছিল গান। কিন্তু এখন সেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে বসেছে।
অফিসে যখন যেতেন, কানে ইয়ারফোন গুঁজে বলিউড শিল্পী নেহা কক্করের গান শোনা ছিল তাঁর রোজকার অভ্যাস। কিন্তু তালিবানি দৌরাত্ম্যে জুলাই মাস থেকেই অফিস যাওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতদিন বাড়িতে বসেই খারাপ সময়গুলো কাটাতেন নিজের প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নেহার কক্করের গান শুনে। রবিবার ভারত থেকে এক সংবাদিক বন্ধু তাঁকে রবীন্দ্রনাথের 'তুমি রবে নীরবে...' গানটির এসরাজ সংস্করণ পাঠায়। তারপর সেটাই স্পিকারে হালকা শব্দে শুনছিলেন তিনি। হয়তো মনটা শান্ত রাখতে সেটা কিঞ্চিৎ সাহায্য করেছিল।