Queen Elizabeth II: মৌচাকের উপরে লাগানো হল কালো রিবন, মৌমাছিদের কানে কানে বলা হল, ‘রানি আর নেই…’
Queen Elizabeth II: রাজপরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে এভাবেই সেই খবর জানানোই প্রথা। রানিই যেহেতু ব্রিটেনের জনগণের পাশাপাশি পশু-পাখিদেরও শাসক, তাই তাঁর মৃত্যু সংবাদ সকল মৌমাছিকে জানানো হয়েছে।
লন্ডন: দুপুরেই নেমেছিল শোকের ছায়া। দুঃসংবাদ পেতেই বাকিংহ্যাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন। কষ্ট হলেও, দায়িত্ব পালন করতে কষ্ট চেপেই জানিয়েছিলেন, রানি আর নেই। শোকের বার্তা জানাতে বসানো হল কালো রিবনও। শুধু রাজপরিবারের সদস্যরাই নয়, রানির পোষা মৌমাছিদেরও শোকবার্তা জানানো হল এভাবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হতেই সঙ্গে সঙ্গে বাকিংহ্যাম প্যালেসে যান রাজ পরিবারের মৌমাছিপালক। সেখানেই সমস্ত মৌমাছিদের জানানো হয় রানির মৃত্যুসংবাদ। তাঁর পুত্র চার্লস এবার রাজা হচ্ছেন।
প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ পরিবারের মৌমাছি প্রতিপালনের কাজ করছেন জন চ্যাপেল। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৯ বছর। বৃহস্পতিবার রানির মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি বাকিংহ্যাম প্যালেস ও ক্ল্যারেন্স হাউসে যান। সেখানে রাখা মৌচাকগুলিতে যে কয়েক হাজার মৌমাছি প্রতিপালন করা হয়, তাদের রানির মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়। শোক সংবাদ জানানোর আগে মৌচাকগুলির উপরে শোকবার্তার চিহ্ন হিসাবে কালো রিবনও রাখা হয়।
ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, রাজপরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে এভাবেই সেই খবর জানানোই প্রথা। রানিই যেহেতু ব্রিটেনের জনগণের পাশাপাশি পশু-পাখিদেরও শাসক, তাই তাঁর মৃত্যু সংবাদ সকল মৌমাছিকে জানানো হয়েছে। তারা যে এবার নতুন শাসকের অধীনে থাকতে চলেছে, সেই সংবাদও জানানো হয়েছে। নতুন রাজার সঙ্গে তারা যাতে ভাল ব্যবহার করে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মেইল অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জন চ্যাপেল বলেন, “রাজপরিবারের কোনও সদস্য়ের মৃত্য়ু হলে প্রথা এটাই যে মৌচাকের সামনে গিয়ে যেন তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা হয় এবং মৌচাকের উপরে কালো রিবন দিয়ে আসা হয়। রানির মৃত্যুর পর আমিও সেই নিয়ম মেনেই মৌচাকের উপরে কালো রিবন দিয়ে তৈরি একটি বো রেখে আসি। আপনার পরিবারের কারোর মৃত্যু হলে, সেই সংবাদ সকল সদস্যকেই জানাতে হয়। রানির থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর কে হতে পারেন?”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রত্যেকটি মৌচাকে টোকা মেরে জানাই, রানি মারা গিয়েছেন। তবে তোমাদের কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নতুন রাজা তোমাদের প্রতি ভাল থাকবে। আমি প্রথমে ক্ল্যারেন্স হাউসে গিয়ে এই খবর জানাই, এরপর বাকিংহ্যাম প্যালেসে রানির মৃত্যু সংবাদ জানাতে যাই।”