Sri Lanka: দায়িত্ব নিয়েই বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পে বাহিনী পাঠালেন রনিল, ধস্তাধস্তিতে আহত ৫০

financial crisis: বিক্রমসিঙ্ঘেে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এমন সম্ভাবনার আশঙ্কার করছিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তাদের আশঙ্কা ছিল, ক্ষমতাচ্যুত গোতাবায়া রাজপক্ষের সঙ্গে সখ্যের জেরে প্রতিবাদীদের ওপর খড়্গহস্ত হতে পারে নতুন সরকার।

Sri Lanka: দায়িত্ব নিয়েই বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পে বাহিনী পাঠালেন রনিল, ধস্তাধস্তিতে আহত ৫০
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 4:14 PM

কলম্বো: শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই শপথ গ্রহণ করেছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে ( Ranil Wickremesinghe)। বাল্যবন্ধু দীনেশ গুণবর্ধনকে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব দিয়েছেন রনিল। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার বিরোধী বিভিন্ন প্রতিবাদী ক্যাম্পে অভিযান শুরু করেছে শ্রীলঙ্কান নিরাপত্তা বাহিনী। খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রতিবাদী ক্যাম্পের সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি পদে শপথ গ্রহণের পর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে বিক্ষোভকারীদের শিবিরটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রপতি বাসভবন সংলগ্ন প্রধান রাস্তার দু’পাশে থাকা বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিক্রমসিঙ্ঘেে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এমন সম্ভাবনার আশঙ্কার করছিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তাদের আশঙ্কা ছিল, ক্ষমতাচ্যুত গোতাবায়া রাজপক্ষের সঙ্গে সখ্যের জেরে প্রতিবাদীদের ওপর খড়্গহস্ত হতে পারে নতুন সরকার। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের পর থেকেই শয়ে শয়ে নিরাপত্তারক্ষী বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প ঘিরে ফেলেছিল। বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এমন সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও অবধি ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর্থিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের সরকারে ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে পুলিশ ও সেনা মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগযোগ করা হলেও তারা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রবিবার থেকে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন বিক্রমসিঙ্ঘে। আগের জরুরি অবস্থার নিয়মে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারে ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছেন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি অভিযানের কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। আর্থিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।