New PM Of Sri Lanka: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মোদীকে ধন্যবাদ, পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ রনিল বিক্রমসিংঘের

Ranil Wickremesinghe: প্রধানমন্ত্রী হিসেব শপথ নেওয়ার পরই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রনিল। সেখানেই ভারতের উদ্দেশে এই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেন তিনি।

New PM Of Sri Lanka: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মোদীকে ধন্যবাদ, পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ রনিল বিক্রমসিংঘের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 6:50 PM

কলোম্বো: দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত। জ্বালানির মাত্রারিক্ত দাম, নিত্যনৈমিত্তিক সামগ্রীর লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, বাড়তে থাকা বিদ্যুৎ সঙ্কটে সাধারণ মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তা নেমেছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভের আঁচে জ্বলছিল গোটা দেশ। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষ (Mahinda Rajapaksa)। দ্বীপরাষ্ট্র জুড়ে সঙ্কটের মাঝেই বৃহস্পতিবার, শ্রীলঙ্কার ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)। প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে ভারতের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন রনিল। প্রধানমন্ত্রীয় দায়িত্ব নিয়েই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার কথাই বলেছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশের চরম আর্থিক দুর্দশার সময়ে অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রনিল। চরম রাজনৈতিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া যে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তা রনিল ভালই জানেন। এদিন ভারতকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন রনিল। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাই এবং বিপদে পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ’।

প্রধানমন্ত্রী হিসেব শপথ নেওয়ার পরই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রনিল। সেখানেই ভারতের উদ্দেশে এই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেন তিনি। ঋণ ও আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কাকে ৩০০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। রনিলের শপথের পরই ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে তৈরি হওয়া নয়া শ্রীলঙ্কান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে বিশেষ আগ্রহী ভারত এবং নয়া দিল্লি দ্বীপরাষ্ট্রের জনসাধারণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। রাজাপক্ষের ইস্তফার পর ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টির প্রধান নেতা রনিল কোনও মন্ত্রিসভা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দেশজুড়ে সংঘর্ষের মাঝেই ইস্তফা দিয়ে গাঢাকা দিয়েছেন রাজাপক্ষ। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এখন দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রধানমন্ত্রী এই আর্থিক সঙ্কট থেকে দেশকে বের করে আনতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার।