S Jaishankar: ‘ভারত ও চিনের সমান্তরাল উত্থান…’, সম্পর্কের ‘অস্বাভাবিকতা’ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য জয়শঙ্করের

S Jaishankar on India-China relations: ভারতের প্রতিটি বৈদেশিক সম্পর্কের আলাদা আলাদা ওজন এবং অভিমুখ রয়েছে। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্ত দেশের সঙ্গেই একচেটিয়া মনোভাব ছাড়া অগ্রসর হয় ভারত। ব্যতিক্রমী অবস্থান শুধু চিন-পাকিস্তানকে নিয়ে। ডমিনিকান রিপবলিকে স্পষ্ট জানালেন এস জয়শঙ্কর।

S Jaishankar: 'ভারত ও চিনের সমান্তরাল উত্থান...', সম্পর্কের 'অস্বাভাবিকতা' নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য জয়শঙ্করের
ডমিনিকান রিপাবলিকে ভারতের দূতাবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2023 | 2:34 PM

সান্তো দোমিঙ্গো: ভারতের প্রতিটি বৈদেশিক সম্পর্কের আলাদা আলাদা ওজন এবং অভিমুখ রয়েছে। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্ত দেশের সঙ্গেই একচেটিয়া মনোভাব ছাড়া অগ্রসর হয় ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া, জাপান – প্রায় সকল দেশের নাম নিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বাদ রাখলেন শুধু চিন-পাকিস্তানকে। সম্প্রতি, ডমিনিকান রিপাবলিকের বিদেশ মন্ত্রকের সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রে জয়শঙ্কর বলেছেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সময়ে প্রথম ভারত সরকার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এই অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছিলেন। যা কালক্রমে ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভিশন’-এর রূপ পেয়েছিল। মধ্য এশিার ক্ষেত্রেও এরকমই এক ভিন্ন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এইভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের জন্য ভারত ভিন্ন ভিন্ন অগ্রাধিকার নীতি গ্রহণ করেছে। তবে, চিন এবং পাকিস্তান – এই দুই প্রতিবেশি দেশ ‘ভিন্ন বিভাগে’ পড়ে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

চিনের বিষয়টি আলাদা বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সীমান্ত বিরোধ এবং আমাদের সম্পর্কের বর্তমানে অস্বাভাবিক প্রকৃতির কারণে চিন কিছুটা ভিন্ন বিভাগে পড়ে।” তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, চিন সীমান্ত বিষয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করার ফলেই সম্পর্কের এই অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া, একই সময় কালে বিশ্বমঞ্চে ভারত ও চিনের সমান্তরাল উত্থানের ফলেও দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নীতিও তুলে ধরেন তিনি। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রাধিকার অবশ্যই তার প্রতিবেশিরা। এই কারণেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ বা ‘প্রতিবেশি প্রথম’ নীতি নিয়েচে। ছোট প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রে ভারতের উদার সহায়তামূলক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যোগাযোগ, সংযোগ এবং সহায়তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে ভারতের অবস্থানের নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। অর্থনৈতিক সংকটে ভোগা শ্রীলঙ্কাকে ভারত ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে।

তবে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল পাকিস্তান। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে সমর্থনের জন্যই পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যতিক্রমী সম্পর্ক ভারতের। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, কোয়াড, আই২ইউ২-এর মতো বিবিধ নীতি ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে ভারত তার প্রতিবেশি এবং মিত্র রাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে।

২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল ডমিনিকান রিপাবলিক সফরে গিয়েছিলেন এস জয়শঙ্কর। সেখানে ভারতের দূতাবাসের উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়া সেই দেশে প্লাজা মহাত্মা গান্ধী, সেখানকার ফারো এ কোলওন জাদুঘরের ভারতীয় প্যাভিলিয়নেরও উদ্বোধন করেন।