Rishi Sunak: ‘আমার কাছে পরিবারই সবকিছু…’, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েই ‘শিকড়ে’র স্মৃতিচারণ সুনকের

Rishi Sunak: ৪৯ বছর বয়সী সুনক বলেন, "আমার ঠাকুমা একটি ভাল জীবনের স্বপ্ন নিয়েই ইংল্যান্ডের বিমানে চেপে বসেছিলেন। এখানে এসে তিনি কাজও খুঁজে পান। কিন্তু নিজের স্বামী, সন্তানদের এখানে আনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ জমাতেই প্রায় এক বছর লেগে গিয়েছিল।"

Rishi Sunak: 'আমার কাছে পরিবারই সবকিছু...', প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েই 'শিকড়ে'র স্মৃতিচারণ সুনকের
ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ঋষি সুনক। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 9:05 AM

লন্ডন: প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন এতদিন। এবার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নাম লেখালেন ভারতীয় বংশোদভূত ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন চ্যান্সেলর শুক্রবার থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রচার শুরু করে দিলেন। কনজারভেটিভ পার্টি ও দেশের হাল ধরার জন্যই প্রধানমন্ত্রী পদে লড়াই করছেন বলে জানান সুনক। ব্যক্তিগত বেশ কিছু কথাও তিনি প্রচারের ভিডিয়োয় ভাগ করে নেন।

বিদেশেই জন্ম ও বড় হয়ে উঠলেও, শিকড়ের টান রয়ে গিয়েছে ঋষি সুনকের। প্রাক্তন ব্রিটিশ মন্ত্রীর ঠাকুর্দা-ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীও হিসাব মতো ভারতীয়ই। ইনফোসিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তিই ঋষি সুনকের স্ত্রী। ক্যালিফোর্নিয়ায় পড়াশোনা করার সময়ই তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব প্রেম ও পরে দাম্পত্য সম্পর্কে পরিণত হয়।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লেখানোর আগে থেকেই প্রচারের আলোয় ছিলেন ঋষি সুনক। ব্রিটেনের মন্ত্রীসভার শীর্ষপদগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ঋষি। তবে সম্প্রতিই ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। তাঁর ইস্তফার কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন সাজিদ জাভেদ। এরপরই শুরু হয় ইস্তফা জমা দেওয়ার হিড়িক। একদিনের মধ্যেই ৫০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে। চাপের মুখে পড়েই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বরিস জনসন। এরপরই জল্পনা শুরু হয় যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লেখাতে চলেছেন ঋষি সুনক।

শুক্রবার ঋষি সুনক যে নির্বাচনী প্রচার ভিডিয়ো প্রকাশ করেন, তাতে তিনি নিজের ঠাকুমার ইংল্যান্ডে আসার গল্পই শোনান। ৪৯ বছর বয়সী সুনক বলেন, “আমার ঠাকুমা একটি ভাল জীবনের স্বপ্ন নিয়েই ইংল্যান্ডের বিমানে চেপে বসেছিলেন। এখানে এসে তিনি কাজও খুঁজে পান। কিন্তু নিজের স্বামী, সন্তানদের এখানে আনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ জমাতেই প্রায় এক বছর লেগে গিয়েছিল।”

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক জানান, তাঁর কাছে পরিবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লেখানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তেই কারোর লাগাম ধরার ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। সেই কারণেই আমি কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা ও আপনাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সামিল হয়েছি।”

উল্লেখ্য, ঋষি সুনক যদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে তিনিই ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত।