‘অস্থিরতা তৈরিই লক্ষ্য, ভারতের নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে আমেরিকা’, মুখোশ খুলে দিল রাশিয়া

Russia-India: ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা। ভারতে যাতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হয়, তার পক্ষেও সওয়াল করেছিল আমেরিকা। এবার আমেরিকার এই দাবি নিয়েই মুখ খুলল রাশিয়া। পুতিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জ়াখারোভা বললেন যে ভারতের জাতীয়তাবাদ ও ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা কম আমেরিকার।

'অস্থিরতা তৈরিই লক্ষ্য, ভারতের নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে আমেরিকা', মুখোশ খুলে দিল রাশিয়া
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2024 | 12:27 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নাক গলাতে চাইছে আমেরিকা। তৈরি করতে চাইছে অস্থিরতা। এমনটাই অভিযোগ তুলল রাশিয়া। সাংবাদিক বৈঠক করে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জ়াখারোভা বলেন, “খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টায় ভারতের যে সক্রিয় যোগ রয়েছে, তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এখনও দিতে পারেনি আমেরিকা।”

ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা। ভারতে যাতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হয়, তার পক্ষেও সওয়াল করেছিল আমেরিকা। এবার আমেরিকার এই দাবি নিয়েই মুখ খুলল রাশিয়া। পুতিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জ়াখারোভা বললেন যে ভারতের জাতীয়তাবাদ ও ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা কম আমেরিকার। সেই কারণে আমেরিকা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগকে ‘অবমাননাকর’ বলেই উল্লেখ করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজে বিদেশমন্ত্রী জ়াখারোভা বলেন, “আমেরিকার এই অভিযোগের লক্ষ্যই হল ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল করা ও লোকসভা নির্বাচনে জটিলতা তৈরি করা। ওয়াশিংটনের এই কার্যকলাপ স্পষ্টতই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের তরফে ভারতের তুমুল সমালোচনা করা হয়েছিল ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে। ভারত একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দেয়, এমন তকমা দেওয়ার সুপারিশও করেছিল ওই কমিশন।

বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন, গো-হত্য়া প্রতিরোধের মতো আইন বিজেপি সরকার জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে এবং এর জেরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিল আমেরিকা।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মার্কিন কমিশনের এই রিপোর্টের তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে আমেরিকা, এমনটাই অভিযোগ করে বিদেশ মন্ত্রক।