Russian Missile Attack killed 60: এ কী ধরনের বিজয় উৎসব! স্কুল চলাকালীনই আছড়ে পড়ল মিসাইল, মৃত কমপক্ষে ৬০

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানান যে, শনিবার ইউক্রেনের বিলোগরিভকা প্রদেশের পূর্বের একটি গ্রামে অবস্থিত স্কুলের উপরে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। মিসাইলের আঘাতে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Russian Missile Attack killed 60: এ কী ধরনের বিজয় উৎসব! স্কুল চলাকালীনই আছড়ে পড়ল মিসাইল, মৃত কমপক্ষে ৬০
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 7:04 PM

কিয়েভ: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের। অক্ষরে অক্ষরে এই কথা সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে। রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। যেখানে রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় উৎসব পালন করছে, সেখানেই ইউক্রেনের স্কুলে আছড়ে পড়ছে মিসাইল। রবিবার ইউক্রেন প্রসাশনের তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনের একটি স্কুলে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। মিসাইলের আঘাতে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সময় অতিক্রম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কঠিন হচ্ছে ইউক্রেনের যুদ্ধ। রবিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানান যে, শনিবার ইউক্রেনের বিলোগরিভকা প্রদেশের পূর্বের একটি গ্রামে অবস্থিত স্কুলের উপরে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। মিসাইলের আঘাতে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করার পর থেকে এখনও অবধি এটি অন্যতম বড় হামলা, যেখানে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবারই নাজ়িদের হারিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ের উদযাপনে উৎসব শুরু করেছে রাশিয়া। মস্কোর রাস্তায় সামরিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেছে। মস্কোর রেড স্কোয়ারে দেখা মিলেছে ব্যালেস্টিক পরমাণু মিসাইলের। আকাশেও রুশ সেনাবাহিনী যে মহড়া দেবে, তাতে রাশিয়ার সামরিক প্রতীক ‘জেড’ যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভিকট্রি ডে পালন। কিন্তু এবারের বিজয় দিবসের বিশেষ তাৎপর্য হল ইউক্রেনের যুদ্ধ। গতকালই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই এখনও রুশ সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালাচ্ছে। ১৯৪৫-এর মতো এবারও জয় আসবে। নাজ়িবাদের জন্ম না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।”

ইউক্রেন ফ্য়াসিবাদের গ্রাসে চলে গিয়েছে বলেও দাবি করেন পুতিন। এদিকে পাল্টা জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিও ভাঙাচোরা বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েক দশক পরে ইউক্রেনে ফের অন্ধকারের দিন ফিরে এসেছে। আবার সাদা-কালো দিন ফিরে এসেছে আমাদের জীবনে।”