Russia: সোনার বাঁট-অস্ত্র থেকে কাটা মাথার ছবি! ওয়াগনার বস প্রিগোজিনের বাড়িতে হানা দিয়ে অবাক রুশ পুলিশ

Wagner boss Prigozhin’s mansion: সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে তাঁর প্রাসাদ-সম বাসভবনে তল্লাশি চালাল রুশ পুলিশ। এই অভিযানে তাঁর বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, সোনার বাঁট, প্রচুর গোলাগুলি-বন্দুক, এমনকি শত্রুদের কাটা মাথার একটি ফ্রেমে বাঁধানো ছবি পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।

Russia: সোনার বাঁট-অস্ত্র থেকে কাটা মাথার ছবি! ওয়াগনার বস প্রিগোজিনের বাড়িতে হানা দিয়ে অবাক রুশ পুলিশ
প্রিগোজিন এবং তাঁর প্রাসাদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2023 | 9:11 PM

মস্কো: সপ্তাহখানেক আগেই ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের চেষ্টা করেছিলেন রুশ ভাড়াটে সৈন্য গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান, ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তার আগে পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একজন ছিলেন প্রিগোজিন। তবে, ওই বিদ্রোহের চেষ্টার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করেছে রুশ সরকার। সম্প্রতি, সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে তাঁর প্রাসাদ-সম বাসভবনে তল্লাশি চালাল রুশ পুলিশ। এই অভিযানে তাঁর বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, সোনার বাঁট, প্রচুর গোলাগুলি-বন্দুক, এমনকি শত্রুদের কাটা মাথার একটি ফ্রেমে বাঁধানো ছবি পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। তল্লাশিতে পাওয়া গিয়েছে এক আলমারিতে ভর্তি পরচুলা এবং ছদ্মবেশ ধারণের বিভিন্ন সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রিগোজিনের বিভিন্ন ছদ্মবেশে তোলা ছবিও পেয়েছে রুশ পুলিশ।

প্রিগোজিনের প্রাসাদে অনুসন্ধানকারীরা জানিয়েছেন, প্রিগোজিনের বাড়িতে নগদ অর্থ এবং প্রচুর সোনার বাঁট লুকোনো ছিল। বাড়ির মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলেছে বহু অস্ত্রশস্ত্র। শয়ন কক্ষেও ঠাসা ছিল গোলাবারুদ। তাঁর একটি ব্যক্তিগত অস্ত্রাগারও ছিল। পাওয়া গিয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যবহৃত জাল পাসপোর্ট। মিলেছে মাদকও। প্রিগোজিনের প্রাসাদের ভিতরের একটি ছবিতে, একটি বিশালাকৃতির স্লেজহ্যামার বা বরফ ভাঙার হাতুড়িও দেখা গিয়েছে। সেই হাতুড়ির গায়ে লেখা আছে, ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ব্যবহারের জন্য’। প্রসঙ্গত, একাধিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকদের উপর স্লেজহ্যামার দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

নেটিজেনরা অবশ্য অবাক হয়ে গিয়েছে প্রিগোজিনের বাড়ির অন্দরের অন্য এক ফটো দেখে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তার একটি আলমারি ভর্তি বিভিন্ন রঙের পরচলা এবং নকল দাড়ি-গোঁফ রয়েছে। ওই পরচুলা এবং নকল গোঁফ-দাড়ি পরে ওয়াগনার প্রধান বিভিন্ন দেশে পরিচয় গোপন রেখে ঘুরে বেড়াতেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে পুতিনের হয়ে কাজ করার সময়, সম্ভবত এই সকল ছদ্মবেশ ধারণ করতেন তিনি। সুদান, আবুধাবি, লিবিয়া, ত্রিপোলি, এবং সিরিয়ায় সামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মচারীদের ছদ্মবেশে প্রিগোজিনের একাধিক সেলফি ছবি পাওয়া গিয়েছে ওই আলমারিটির মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার কর্মীরা দাবি করেন, আফ্রিকায় ওয়াগনার গোষ্ঠীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ইউক্রেনিয় কর্মকর্তাদের দাবি, প্রিগোজিনের সেলফিগুলি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশে প্রভাব বিস্তার করতে ওয়াগনারের মতো নিষ্ঠুর গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতেন পুতিন।

তবে, প্রিগোজিনের বাড়ি থেকে যে জিনিসগুলি পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে একটি জিনিস ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটি একটি ফ্রেমে বাঁধানো ছবি। ছবিটি হল ওয়াগনার গোষ্ঠীর শত্রু এবং বিশ্বাসঘাতকদের কাটা মাথার ছবি। হলওয়েতে একটি অ্যালিগেটরের দেহও রাখা আছে। প্রাসাদে একটি ব্যক্তিগত প্রার্থনা কক্ষ এবং একটি ব্যক্তিগত মেডিকেল রুমও রয়েছে। আর আছে, সনা, স্পা, ওয়াটার স্লাইড-সহ সুইমিং পুল-এর মতো আধুনিক বিলাস ব্যবস্থা।