Russia-Ukraine War: বাখমুট দখল করে নিল রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী, বড় বিপদের মুখে ইউক্রেন
Russia-Ukraine Conflict: ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন টেলিগ্রামে একটি ভিডিয়োয় পোস্ট করেন যেখানে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে রাশিয়ার সেনা নিজেদের দেশের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গোটা বাখমুট শহর দখল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কিয়েভ: ১৫ মাস কেটে গিয়েছে। এখনও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। যে সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) থেকে শুরু করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে জি-৭ সামিটে দেখা করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (V0olodymyr Zelenskyy), সেই সময়ই রাশিয়ার তরফে পূর্ব ইউক্রেনের এক শহর দখল করে নেওয়ার দাবি জানানো হল। রাশিয়ার দাবি, তারা ইউক্রেনের বাখমুট (Bakhmut) শহর দখল করে নিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)-ও সেনা বাহিনী ও ব্যক্তিগত সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপকে এই শহর দখলের জন্য অভিনন্দন জানান। যদিও ইউক্রেনের তরফে শহর দখল হয়ে যাওয়ার দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। ইউক্রেনের সেনার দাবি, এখনও সংঘর্ষ চলছে। বাখমুট হাতছাড়া হয়নি।
শনিবারই কিয়েভের তরফে জানানো হয়, পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুটে রাশিয়ান সেনার সঙ্গে ব্য়াপক সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। এর কয়েক ঘণ্টা বাদেই রাশিয়ার তরফে ঘোষণা করা হয়, তারা বাখমুট শহর দখল করে নিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাখমুটকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করা হবে।
ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন টেলিগ্রামে একটি ভিডিয়োয় পোস্ট করেন যেখানে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে রাশিয়ার সেনা নিজেদের দেশের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গোটা বাখমুট শহর দখল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। রাশিয়ার সেনার হাতে দখল করা শহরের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে গোটা শহরের ভাল করে তল্লাশি চালাবে ওয়াগনার বাহিনী, এমনটাও জানানো হয়। আগামী ২৫ মে-র মধ্যে তল্লাশি শেষ করে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে শহরের দায়িত্ব রাশিয়ার সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের বাখমুট শহরে নুনের খনি রয়েছে। ৭০ হাজার জনসংখ্য়ার এই শহরে সবথেকে বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেন বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। দুই দেশের সেনাই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। যদি রাশিয়া এ শহর দখল করতে সফল হয়, তাহলে এটা তাদের কাছে বড় জয় হবে। ডনবাস শহরের বাকি অংশ দখল করতেও সুবিধা হবে রাশিয়ার সেনার।