মুখরক্ষায় শ্রীলঙ্কা! আগের থেকে বেশি শেয়ারে বন্দর-চুক্তির বার্তা ভারতকে

কলম্বো: বন্দর তৈরি করতে ভারত ও জাপানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বিজেপি। পরে দেশের অন্দরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই চুক্তি বাতিল করে কলম্বো। আর সেই ঘটনাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেনি নয়া দিল্লি। এবার কূটনৈতিক সামঞ্জস্য রাখতে অন্য একটি বন্দর তৈরিতে ভারতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ভারত ও জাপানকে বিনিয়োগের জন্য় আহ্বান জানানো হচ্ছে। মঙ্গলবার সেই […]

মুখরক্ষায় শ্রীলঙ্কা! আগের থেকে বেশি শেয়ারে বন্দর-চুক্তির বার্তা ভারতকে
ভারত-জাপানের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় শ্রীলঙ্কা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2021 | 7:20 PM

কলম্বো: বন্দর তৈরি করতে ভারত ও জাপানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বিজেপি। পরে দেশের অন্দরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই চুক্তি বাতিল করে কলম্বো। আর সেই ঘটনাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেনি নয়া দিল্লি। এবার কূটনৈতিক সামঞ্জস্য রাখতে অন্য একটি বন্দর তৈরিতে ভারতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ভারত ও জাপানকে বিনিয়োগের জন্য় আহ্বান জানানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার সেই চুক্তির বিষয়টা সামনে এসেছে। যদিও ভারত ও জাপান এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেনি। এক দিকে ঋণের দায়ে একটি বন্দর চিনকে লিজ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অন্য দিকে, কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কন্টেনার টার্মিনালে অংশীদারিত্ব রয়েছে চিনের। ভারত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শ্রীলঙ্কার অবস্থান হওয়ায় এই দ্বীপ রাষ্ট্র প্রতিবেশীদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এবার চিনের তৈরি ওই বন্দরের উল্টো দিকেই ওয়েস্ট কন্টেনার টার্মিনাল তৈরি করতে চুক্তি করতে চাইছে বিজেপি।

শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র কেহেলিয়া রাম্বুকেবেলা এ দিন জানিয়েছেন, ওয়েস্ট কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ নিয়ে ভারত ও জাপানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, নতুন বন্দরে ৮৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে ভারত ও জাপানের, কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কন্টেনার টার্মিনালের ক্ষেত্রে ঠিক যতটা অংশীদারিত্ব রয়েছে চিনের। তবে ভারত ও জাপানের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভাগাভাগি কিভাবে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।

এর আগো শ্রীলঙ্কার ইস্ট কন্টেনার টার্মিনাল যৌথভাবে তৈরি করার কথা ছিল ভারত, জাপান ও শ্রীলঙ্কার। সেখানে ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকত ভারত ও জাপানের হাতে এবং সিংহ ভাগ শেয়ার থাকত শ্রীলঙ্কার হাতে। কিন্তু রাজাপক্ষ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ভাল চোখে দেখছিল না সে দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলো। তাদের দাবি, বন্দরের ১০০ শতাংশ শেয়ার থাকা উচিত কলম্বোর হাতেই। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট হয় সে দেশের ২৩ টি ট্রেড ইউনিয়ন। আর সেই সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে সমর্থন করে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলিও। এমনকি শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতার সমর্থনও ছিল এই বিক্ষোভে, আর তাতেই আরও জোরদার হয় আন্দোলন। এরপরই ওই চুক্তি বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘জিনপিংয়ের চক্রান্ত’, চিনে বসেই মুম্বইকে অন্ধকার করে দিচ্ছে হ্যাকাররা!

২০১৯-এ ভারত, জাপান ও শ্রীলঙ্কার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের আদানি গ্রুপের হাতে ছিল দায়িত্ব। এই চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। তবে নতুন চুক্তির অফারে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত কিংবা জাপান।