Google Map : গুগল ম্যাপে ধরা পড়ল ৩০ মিটার লম্বা সাপের কঙ্কাল! রূপকথা নাকি সত্যি?
Google Map : ‘গুগলম্যাপসফান’ নামক একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট সম্প্রতি গুগল ম্যাপের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করে যে সেই ভিডিয়োতে একটি সাপের কঙ্কাল দেখা যাচ্ছে। বিশালাকার সেই সাপটি নিয়ে তৎক্ষণাৎ কৌতূহল শুরু হয় নেটমাধ্যমে।
প্যারিস : অনেকেই নিজের অলস সময়ে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে ‘বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসেন।’ আবার অনেকেই অদ্ভূত অদ্ভূত সব জিনিস খুঁজে বের করেন গুগল ম্যাপে। সেই অদ্ভূত খোঁজগুলি বিভিন্ন সময়ে ভাইরালও হয়ে যায়। সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভূত জিনিস খুঁজে বের করেছিলেন এক টিকটক ব্যবহারকারী। ‘গুগলম্যাপসফান’ নামক একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট সম্প্রতি গুগল ম্যাপের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করে যে সেই ভিডিয়োতে একটি সাপের কঙ্কাল দেখা যাচ্ছে। বিশালাকার সেই সাপটি নিয়ে তৎক্ষণাৎ কৌতূহল শুরু হয় নেটমাধ্যমে। দাবি করা হয় সেই কঙ্কালটি ফ্রান্সে রয়েছে।
ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ফ্রান্সের কোথাও একটা আমরা দৈত্যাকার কিছু দেখতে পাচ্ছি যা আপনি শুধুমাত্র স্যাটেলাইট দিয়ে দেখতে পারেন, গুগল আর্থ-এ লুকানো এটি। ইউজাররা এটিকে একটি দৈত্যাকার সাপ বলে বিশ্বাস করেন। এটি প্রায় ৩০ মিটার লম্বা এবং এর আগে কখনও এত বড় সাপ ধরা পড়েনি।’ ভিডিয়োটি দুই মিলিয়নের উপর ভিউজ পায়। এবং গুগল ম্যাপে সত্যি যেকেউ এটি দেখতে পারেন।
তবে আসলেই কি এটা কোনও প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর কঙ্কাল বা ফসিল? টিকটক ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই এটি নিয়ে ‘তদন্ত’ করে টুইটার ইউজাররা। তাতে দেখা যায় যে এই কঙ্কালটি সত্যি আছে। তবে এটা কোনও প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর কঙ্কাল নয়। গুগল ম্যাপে দেখা ‘সাপের কঙ্কাল’ আসলে একটি শিল্পকর্ম।
Le Serpent d'océan est une immense sculpture (130m) de l'artiste Huang Yong Ping, principalement composée d'aluminium. A découvrir à Saint-Brevin-les-Pins en France.#PaysDeLaLoire #SaintNazaireRenversante #ErenJaeger
?Full YouTube video #widerfocushttps://t.co/U61apdbEk4 pic.twitter.com/0nHGPmhhvR
— Wider Focus (@WiderFocus) February 28, 2022
‘সাপের কঙ্কাল’টা আসলে একটি ‘বড়, ধাতব ভাস্কর্য যা লে সার্পেন্ট ডি’ওশান নামে পরিচিত।’ ভাস্কর্যটি ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত এবং এটির উচ্চতা ৪২৫ ফুট। লে সর্পেন্ট ডি’ওশান এস্টুয়ায়ার শিল্প প্রদর্শনীর অংশ হিসাবে ২০১২ সালে উন্মোচিত হয়েছিল। এটি তৈরি করেছেন চিনা-ফরাসি শিল্পী হুয়াং ইয়ং পিং।