Imran Khan: ইস্তফা এখন সময়ের অপেক্ষা! কার পরামর্শে ভাষণ দিলেন না ইমরান?

Imran Khan: কেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বাতিল করে দেওয়া হল, সেই সম্পর্কে সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি পেশ না করা হলেও, জানা গিয়েছে, ভাষণ দেওয়ার কিছুক্ষণ আগেই পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কোমার বাজওয়া ও ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাভিদ অঞ্জুমের সঙ্গে দেখা করেন ইমরান খান।

Imran Khan: ইস্তফা এখন সময়ের অপেক্ষা! কার পরামর্শে ভাষণ দিলেন না ইমরান?
ইস্তফাই দেবেন ইমরান খান? ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2022 | 6:47 AM

ইসলামাবাদ: প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়ানো এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। আজই সংসদে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান(Imran Khan)-র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব (No Trust Motion) নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ৩ এপ্রিল হবে ভোটাভুটি। এরইমাঝে বুধবার দেশের জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর, কিন্তু শেষ মুহূর্তেই তিনি পিছিয়ে আসলেন। কী কারণে এই ভাষণ বাতিল করে দেওয়া হল, সে সম্পর্কে সরকারের তরফে কোনও কিছু জানানো না হলেও সূত্রের খবর পাক সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করার পরই ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন ইমরান খান।

গত সপ্তাহের শুক্রবারই ইসলামাবাদের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর সরকারের পতনের জন্য বিদেশ থেকে চক্রান্ত করা হচ্ছে, আসছে অর্থ সাহায্যও। দেশের টলমল পরিস্থিতিতে বুধবার যখন জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার কথা ছিল, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছ থেকে বড় কোনও ঘোষণা বা সিদ্ধান্তের আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সব আশায় জল ঠেলে ভাষণ বাতিল করে দেন ইমরান খান।

কেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বাতিল করে দেওয়া হল, সেই সম্পর্কে সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি পেশ না করা হলেও, জানা গিয়েছে, ভাষণ দেওয়ার কিছুক্ষণ আগেই পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কোমার বাজওয়া ও ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাভিদ অঞ্জুমের সঙ্গে দেখা করেন ইমরান খান। এরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন তিনি। সূত্রের খবর, সেনা প্রধানরাই ইমরান খানকে এই পরিস্থিতিতে জনসমক্ষে যাওয়া বা ভাষণ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। ইমরানের বক্তব্য দেশের অস্থির পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

 গতকালই মুত্তেহিদা কাওয়ামি মুভমেন্ট (পাকিস্তান)-র তরফে চিঠি দিয়ে ঘোষণা করা হয় যে, তারা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সঙ্গে জোট ভেঙে দিচ্ছে এবং সমস্ত রকমের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এই এক সিদ্ধান্তেই সংসদের গোটা হিসাবটাই বদলে যায়। ৩৪২ সদস্যের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা হল ১৭২। সেখানেই বিরোধী শিবিরের সঙ্গে এমকিউএম যোগ দেওয়ায় তাদের মোট সংখ্যা ১৭৭-এ পৌঁছেছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের দল।

আরও পড়ুন: Imran Khan: আরও ‘একলা’ ইমরান, অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগেই হারালেন সংখ্যাগরিষ্ঠতাও!