Viral video: দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ডানায় কেটে দুই টুকরো ট্যাক্সি, শিউরে ওঠা ভিডিয়ো
Aircraft cut taxi in two: বিমানের ডানায় কেটে দুই টুকরো হয়ে গেল ট্যাক্সি! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলে দেখে নিন ভিডিয়ো।
তাইপেই: বিমানের ডানায় কেটে দুই টুকরো হয়ে গেল ট্যাক্সি! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এরকমটাই ঘটেছিল তাইওয়ানে। ঘটনাটি বেশ পুরোনো। ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সময় সকাল ১১টার কিছু আগে কিলুং নদীর বুকে ভেঙে পড়েছিল ট্রান্সএশিয়া এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ২৩৫। পাইলটের একটি ভুলে প্রাণ গিয়েছিল বিমানের ৪৩ যাত্রী ও ক্রু সদস্যের। বিমানে থাকা মাত্র ১৫ জন বেঁচে ছিলেন। আর অলৌকিকভাবে প্রাণ রক্ষা পেয়েছিল মাটিতে থাকা দুই ব্যক্তিরও। তাঁরা ছিলেন সেই ট্যাক্সিতে, যেটি ভেঙে পড়তে থাকা বিমানটির ডানার ডগায় দুই ভাগে কেটে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই অবিশ্বাস্য মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
দুর্ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছিল, বিমানটিতে দুটি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন ছিল। বিমানটি ওড়ার মাত্র কয়েক মিনিট পরই বাঁদিকের ইঞ্জিনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এই অবস্থায় স্বাভাবিক পদ্ধতি হ’ল, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনটি বন্ধ করে, অন্য ইঞ্জিনটি ব্যবহার করে জরুরি অবতরণের জন্য বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়া। কিন্তু, বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ড এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডে ধরা পড়েছিল যে, পাইলট এবং সহ-পাইলটের মধ্যে যোগাযোগের মারাত্মক ভুল হয়েছিল। যার জেরে, ত্রুটিহীন ইঞ্জিনটিই তাঁরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ১,৬৩০ ফুট উচ্চতায় ছিল বিমানটি। ওই নিম্ন-উচ্চতায় দুটি ইঞ্জিনই কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় বিমানটি সোজা গিয়ে কিলুং নদীতে পড়েছিল। পথে কেটে দুই টুকরো করে দিয়ে গিয়েছিল ট্যাক্সিটিকে।
#OTD in 2015: TransAsia Flight 235, an ATR 72, crashes in Taipei (Taiwan). 43 of 58 aboard die. Shortly after take-off, #2 engine had issues. Pilots mistakenly shut down #1 engine, aircraft went down a nearby river. Report noted crew actions, namely disregard of SOP and poor CRM. pic.twitter.com/TmhRgTknCs
— Air Safety #OTD by Francisco Cunha (@OnDisasters) February 4, 2022
অলৌকিকভাবে, সেই সময় গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তি সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই ট্যাক্সিটির চালকের নাম ঝো। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি বলেছেন, “আমার গাড়িটার সঙ্গে বিমানের ডানার সংঘর্ষের কারণে আমি মাথায় আঘাত পেয়েছিলাম। ডানাটি যে মুহূর্তে গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল, সঙ্গে সঙ্গে আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। তবে আমি ভাগ্যবান যে শেষ পর্যন্ত বেঁচে আছি।” বিমানটিতে অবশ্য আরও বড় একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি হলেন বিমান সেবিকা হুয়াংজিং ইয়া। বিমানটির ক্রু সদস্যদের মধ্যে একমাত্র তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে এই প্রথম নয়, ওই ঘটনার ঠিক আগের বছরই ট্রান্সএশিয়া এয়ারওয়েজের আরেকটি বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নিশ্চিত মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে মাত্র ১০ জন রক্ষা পেয়েছিলেন। উড়ানের আগে শেষ মুহূর্তে এক সহকর্মীর সঙ্গে শিফট অদলবদল করায় বেঁচে গিয়েছিলেন ইয়া।