Taliban Rule: অবৈধ যৌনসম্পর্ক রাখলেই রাস্তায় পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা হবে মহিলাদের, কঠোর নিয়ম তালিবানের

Taliban Rule for Adultery: তালিবানের সুপ্রিম নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা ভিডিয়ো বার্তায় ঘোষণা করেন যে আবার প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে মহিলাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিয়ম চালু করা হচ্ছে। আখুনজাদা জানান যে আন্তর্জাতিক মহল মহিলাদের যে অধিকারের স্বপক্ষে বলছে, তা তালিবানের ইসলামিক শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে।

Taliban Rule: অবৈধ যৌনসম্পর্ক রাখলেই রাস্তায় পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা হবে মহিলাদের, কঠোর নিয়ম তালিবানের
তালিবান শাসন শুরুর পর থেকেই পর্দার আড়ালে আফগান মহিলারা।Image Credit source: AP
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2024 | 3:08 PM

কাবুল: সময় বদলেছে, তবুও তালিবান আছে তালিবানেই। আবারও আফগানিস্তানে মহিলাদের জন্য তালিবান আনল কড়া নিয়ম। আফগানিস্তানের শাসক তালিবান গোষ্ঠী ঘোষণা করল, ব্যভিচার বা অবৈধ যৌনসম্পর্ক করতে ধরা পড়লেই মহিলাদের পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হবে। শরিয়া আইন মেনেই এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে আবার।

তালিবানের সুপ্রিম নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা ভিডিয়ো বার্তায় ঘোষণা করেন যে আবার প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে মহিলাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিয়ম চালু করা হচ্ছে। আখুনজাদা জানান যে আন্তর্জাতিক মহল মহিলাদের যে অধিকারের স্বপক্ষে বলছে, তা তালিবানের ইসলামিক শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে।

আখুনজাদা কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “আমরা যখন মহিলাদের পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড দিই, তখন আপনারা বলেন এতে মহিলাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা শীঘ্রই ব্যভিচারের জন্য এই শাস্তি চালু করতে চলেছি। আমরা প্রকাশ্যে মহিলাদের চাবুকের বাড়ি দেব। জনসমক্ষেই পাথর ছুড়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কাবুল দখল করেই তালিবানের কাজ শেষ হয়ে যায়নি, কাজ সবে শুরু হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের কাবুল দখল করে তালিবান। ক্ষমতা দখলের সময় তালিবান বলেছিল, আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই শরিয়া আইন কার্যকর করা হবে। মহিলাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। কিন্তু কিছু সময় কাটতেই আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকারের উপরে কাঁচি চালাতে শুরু করে তালিবান শাসক। শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকরির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকী, রাস্তায় একা চলাফেরা ও রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই আফগান মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। চাকরির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিনা সম্মতিতেই মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, বিয়ে ও ধর্ষণের মতো অভিযোগও রয়েছে ভুরি ভুরি। এবার ব্যভিচারের ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল তালিবান শাসক।