Afghan Women: খসে গেল মুখোশ, মহিলাদের জন্য এবার আরও কড়া তালিবানি ফরমান

Afghan Women: শনিবার, আফগানিস্তানে মহিলাদের একেবারে আপাদমস্তক বোরখা পরার নির্দেশ দিল তালিবান সরকার।

Afghan Women: খসে গেল মুখোশ, মহিলাদের জন্য এবার আরও কড়া তালিবানি ফরমান
ছবি : মহিলাদের একেবারে আপাদমস্তক বোরখা পরার নির্দেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 9:46 PM

কাবুল: শনিবার, আফগানিস্তানে মহিলাদের একেবারে আপাদমস্তক বোরখা পরার নির্দেশ দিল তালিবান সরকার। বিশেষ ফারাক আর রইল না। ২০২১ সালের অগাস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখল করেছিল তালিবানরা। তারপর তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ১৯৯৬-২০০১ সালে তাদের প্রথম শাসনকালের তুলনায় নরমপন্থী শাসনের। বিশেষ করে সামাজিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই পরিকল্পনামাফিক মহিলাদের স্বাধীনতা হরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তালিবানরা। কিন্তু শনিবার, আফগানিস্তানে মহিলাদের একেবারে আপাদমস্তক বোরকা পরার নির্দেশ দিল তালিবান সরকার।

শনিবার, কাবুলে এক অনুষ্ঠানে তালিবান কর্তৃপক্ষ, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা তথা তালেবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার নামে, মহিলাদের জন্য একটি কঠোর পোষাক বিধি ঘোষণা করেছে। সাফ জানানো হয়েছে, জনসমক্ষে মহিলাদের চাদোরি (মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরখা) পরতে হবে। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, এটিই আফগান মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী এবং সম্মানজনক পোশাক। অতি বয়স্ক বা অল্পবয়সী মহিলারা শুধুমাত্র এই পোশাক বিধির হাত থেকে ছাড় পাবেন। বাকিদের ‘মাহরাম’ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ আত্মীয় বাদে অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে দেখা করার সময় শরিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী চোখ বাদে বাকি মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ‘উস্কানি’ এড়াতেই এই পোশাক বিধি। প্রসঙ্গত তালিবানদের প্রথম শাসনামলেও মহিলাদের জন্য আপাদমস্তক ঢাকা বোরখা পরা বাধ্যতামূলক ছিল।

ক্ষমতায় ফিরে আসার পরই তালিবানরা মহিলাদের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের ও ছেলেদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাঝে পর্দা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, মহিলা শিক্ষক অথবা বৃদ্ধ পুরুষ শিক্ষকরাই মহিলাদের শিক্ষাদান করতে পারবেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি দফতরে মহিলাদের কাজ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পার্কে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষদের ভিন্ন ভিন্ন দিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নারী ও পুরুষদের ভিন্ন ভিন্ন দিনে

প্রাথমিকভাবে এই সকল তালিবানি নির্দেশের বিরোধিতা করেছিলেন একাংশের আফগান মহিলারা। ছোট ছোট বিক্ষোভ ও মিছিল করে আফগান মহিলারা শিক্ষা ও কাজের অধিকারের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তালিবানরা সাফ জানিয়েছিল এইসব প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলবে না। প্রতিবাদী কন্ঠ রোধ করতে তীব্র দমন-পীড়নের রাস্তায় হেঁটেছিল তালিবানরা। এই সব বিক্ষোভের নেতৃত্বকে আটক করা হয়েছিল। এর আগে মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের সময়ে সামাজিকভাবে রক্ষণশীল হলেও, আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা ও কাজের অধিকার ছিল।