কোনও আফগান দেশ ছাড়তে চাইলে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, উদরতা প্রমাণে মরিয়া তালিবান

কেউ দেশ ছেড়ে যাক, চায় না তালিবানরা। কিন্তু কেউ যদি থাকতে না চায়, সে ক্ষেত্রে জোর করাও হবে না।

কোনও আফগান দেশ ছাড়তে চাইলে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, উদরতা প্রমাণে মরিয়া তালিবান
সুহেল শাহিন। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 12:21 AM

কাবুল: কেউ দেশ ছেড়ে যাক, চায় না তালিবানরা। কিন্তু কেউ যদি থাকতে না চায়, সে ক্ষেত্রে জোর করাও হবে না। এমনকী, আফগান নাগরিকদেরও জোর করে রাখা হবে না। সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি-কে দেওয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। তিনি আফগান নাগরিক আবেদন জানিয়েছেন দেশের মাটি ছেড়ে না যেতে। যাতে সবাই মিলে নতুন করে দেশ গড়তে পারেন। কিন্তু কেউ যদি একান্তই যেতে চান তবে তাঁদের বাধা দেওয়া হবে না। সঠিক নথিপত্র যদি তাঁদের সঙ্গে থাকে, সে ক্ষেত্রে চলে যেতে দেওয়া হবে।

সুহেল শাহিন জানিয়েছেন, বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ৩১ অগস্টের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ চাইলে তারপরও দেশ ছেড়ে যেতে পারেন। “যদি কারোর পাসপোর্ট ইস্যু করা থাকে তবে আমরা কখনই কারোর পথের বাধা হব না। যে কোনও সময়ে বাণিজ্যিক বিমানে তাঁরা যেতে পারেন। আমরা চাই যেন তাঁরা (আফগান নাগরিক) দেশে থাকুন। কিন্তু ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁরা মনস্থির করে ফেললে যেতেই পারেন। অবশ্যই যদি তাঁদের সঠিক নথিপত্র থাকে, তবেই।” জানান তালিবানি মুখপাত্র।

দেশীয় বা বিদেশি, কোনও নাগরিকের উদ্দেশ্যেই তালিবানের সতর্কবার্তা না শোনা গেলেও মার্কিন সেনার উদ্দেশে কিছু শাসানির সুর শুনতে পাওয়া যায় শাহিনের কণ্ঠে। তিনি শুধু এটুকু বলেন, “৩১ অগস্টের পরেও যদি বিদেশি সেনা থাকে তবে তার ফলাফল ভোগ করতে হবে।” কী ফলাফল, সেটা অবশ্য বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে সেই ফলাফল যে মোটেই ইতিবাচক বা শান্তিপূর্ণ হবে না, তা হলফ করেই বলা যায়। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিদেশি সেনা আফগান মাটি না ছাড়লে কী পদক্ষেপ করা হবে, সেটার সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতারাই নেবেই বলে জানান শাহিন।

প্রসঙ্গত, কাবুল বিমানবন্দরের হুলুস্থুল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তালিবানের তরফে দেওয়া ৩১ অগস্টের সময়সীমা বাড়ানো যায় কি না, সেই নিয়ে আলোচনায় বসছে আন্তর্জাতিক মহল। আগামিকালই জি৭ দেশের সদস্যগুলির পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে এই বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা আগেই স্থির করেছে আমেরিকা। কিন্ত পরে সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানান বাইডেন। তালিবানের দখলে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে বাইডেন উল্লেখ করেন, ‘কোনও মার্কিনি যদি আফগানিস্তান ছাড়তে না পারেন, তাহলে আফগানিস্তানে থাকতে পারে মার্কিন সেনা। সবাইকে বের করে নিয়ে আসা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে কোন প্রক্রিয়ায় সেনার উপস্থিতির মেয়াদ বাড়ানো হবে, তা উল্লেখ করেননি বাইডেন। আরও পড়ুন: ডেডলাইনের পর একদিনও নয়! মার্কিন সেনাকে কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের