Imran Khan Arrest: ইমরানের গ্রেফতারিতে ‘তেতে’ পাকিস্তান, বিক্ষোভকারীদের উপরে প্যারামিলিটারির গুলি, সংঘর্ষে মৃত ১

Pakistan Violence: ইমরান খানের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই জায়গায় জায়গায় অশান্তি শুরু হয়। ইসলামাবাদে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ধুন্ধুমার শুরু হয় পুলিশ  ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে। অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাহোর, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পঞ্জাব প্রদেশ অবধি।

Imran Khan Arrest: ইমরানের গ্রেফতারিতে 'তেতে' পাকিস্তান, বিক্ষোভকারীদের উপরে প্যারামিলিটারির গুলি, সংঘর্ষে মৃত ১
ইসলামাবাদে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2023 | 10:26 AM

ইসলামাবাদ: গ্রেফতার ইমরান খান (Imran Khan)। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান (Pakistan)। কোথাও ভাঙচুর করা হচ্ছে সেনা আবাসন, কোথাও আবার রাস্তাঘাটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (Tehreek-e-Insaf) কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবারই ইসলামাবাদের (Islamabad) একটি আদালতে প্রবেশ করার মুখে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে  গ্রেফতার হন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর ইমরানের গ্রেফতারির পরই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানে। ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে লাহোর, কোয়েটা, বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখাতে পথে নামেন পিটিআই সমর্থকরা। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মিলিটারির সংঘর্ষে এক পিটিআই সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

জানা গিয়েছে, একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতেই মঙ্গলবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদের আদালতে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আদালত চত্বরে পৌঁছতেই তাঁকে আদালত থেকে গ্রেফতার করে পাক রেঞ্জার্সরা। পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, আইনজীবী ও নিরাপত্তারক্ষীর ঘেরাটোপে ছিলেন ইমরান খান। পাক রেঞ্জার্সরা তাদের মারধর করে,  কাঁচ ভেঙে টেনে হিচড়ে বের করেন ইমরান খানকে এবং গ্রেফতার করেন। আল কাদির ট্রাস্ট জমি দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, ইমরান খানের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই জায়গায় জায়গায় অশান্তি শুরু হয়। ইসলামাবাদে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ধুন্ধুমার শুরু হয় পুলিশ  ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে। অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাহোর, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পঞ্জাব প্রদেশ অবধি।  বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পরিস্থিতি সামলাতে পরে সেনাও নামানো হয়।

জানা গিয়েছে, বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা শহরে মিলিটারি বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। একইভাবে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি শহরেও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্যারামিলিটারি বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষ টুইটার সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্লক করে দিয়েছে। ইসলামাবাদ সহ একাধিক শহরে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের অধিকাংশ জায়গাতেই আজ, বুধবার বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অশান্তির আশঙ্কায়।