Bangladesh: ‘যাঁরা অর্ডার দিয়েছিল তাঁরা বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে, মরছি আমরা’, কাঁদছে বাংলাদেশের পুলিশ
Bangladesh:ভিডিয়ো বার্তায় ওই পুলিশ কর্মী কার্যত তাঁর উপর মহলের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “আমাদের তো আদেশ মেনে চলতে হয়। ছাত্ররাও যেমন মারা গিয়েছে পুলিশও তেমন মারা গিয়েছে। আর যে সমস্ত পুলিশ মারা গিয়েছে তাঁরা কিন্তু নিম্ন পদস্থ সব কর্মী।”
কলকাতা: হাসিনা দেশ ছাড়লেও এখনও শান্ত হয়নি বাংলাদেশ। দিকে দিকে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। সোজা কথায় ডামাডোল চলছেই পদ্মপাড়ে। এরইমধ্যে দেশের নানা প্রান্তে ভেঙেছে জেলের তালা। চম্পট দিয়েছে শত শত বন্দি। থানাতেও আছড়ে পড়েছে জনতার ক্ষোভ। এরইমধ্যে কর্মবিরতির পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল সে দেশের পুলিশদের। কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে প্রকাশ্যে নিজেদের অসহায়তার কথা বলছেন পুলিশ কর্মীরা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক পুলিশ কর্মীর ভিডিয়ো। সেখানে অঝোরে কাঁদতেও দেখা গেল তাঁকে।
ভিডিয়ো বার্তায় ওই পুলিশ কর্মী কার্যত তাঁর উপর মহলের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “আমাদের তো আদেশ মেনে চলতে হয়। ছাত্ররাও যেমন মারা গিয়েছে পুলিশও তেমন মারা গিয়েছে। আর যে সমস্ত পুলিশ মারা গিয়েছে তাঁরা কিন্তু নিম্ন পদস্থ সব কর্মী। যাঁরা অর্ডার দিচ্ছেন তাঁরা কিন্তু কেউ মারা যাননি। আজ পুলিশ দেশের জাতীয় ভিলেন। কিন্তু এই পুলিশ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম রাজাকারদের বিরুদ্ধে কাউন্টার অ্যাটাক করেছিল। সেই গৌরবময় ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলা পুলিশকে আজ জাতীয় ভিলেন করে দিয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।” ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এ কথা বলতে বলতে ততক্ষণে গলাটা বেশ ধরে এসেছে ওই পুলিশ কর্মীর।
কাঁদতে কাঁদতেই তিনি আরও বলেন, “অনেক বড় বড় পুলিশ কর্তারা বড় বড় চেয়ারে বসে তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করছে। আমি এখন পুলিশ হলেও আগে আমি ছাত্র ছিলাম। আমি এখন একজন সন্তানের বাবা। একজন বাবা হিসাবে আমি এটা মেনে নিতে পারি না। আমার ভাইয়েরা মারা গিয়েছে। পরিবারে হাহাকার। এগুলো কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনুসকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে তৈরি হতে চলেছে অন্তবর্তী সরকার। ইউনুসই হবেন প্রধান। এদিনই সে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। যদিও তারপরেও কী বাংলাদেশে শান্তি ফিরবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।