Iran Controversy: কড়া নির্দেশ ‘হিজাব পরতেই হবে’, ইরানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকারই নিলেন না সঞ্চালিকা
Iran Controversy: ক্রিস্টিয়ানের কথায়, প্রেসিডেন্ট রাইসির যে সহকারি এসেছিলেন, তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মাথায় হিজাব না পরলে সাক্ষাৎকার নিতে দেওয়া হবে না। এটা সম্মানের বিষয়।
তেহরান: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। নীতি-পুলিশির ঠেলায় পুলিশের হেফাজতেই মাহসা আমিনি নামক ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর মৃত্যুর পরই বিক্ষোভে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। হিজাব জ্বালিয়ে, চুল কেটে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মহিলারা। এই বিক্ষোভের আবহেই ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসির সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ-ইরানিয়ান সাংবাদিক। কিন্তু তাঁকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগে হিজাব পরতে বলায়, ওই সাংবাদিক সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব নয়।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেই গোটা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সিএনএন-র চিফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাঙ্কর ক্রিস্টিয়ান আমানপোর। তিনি জানান, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনি নিউইয়র্কে থাকায়, তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বর্তমানে ইরানে মহিলাদের উপরে যে কঠোর নিয়মগুলি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করার পরিকল্পনা ছিল ওই সংবাদ সঞ্চালিকা। আমেরিকার মাটিতে এটিই প্রথম সাক্ষাৎকার হত রাইসির।
কিন্তু সাক্ষাৎকার শুরু হওয়ার আগেই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টির বর্ণনা দিয়ে ক্রিস্টিয়ান আমানপোর বলেন, “সাক্ষাৎকারের জন্য আটঘণ্টা ধরে যাবতীয় সেট আপ করা হয়। লাইট, ক্যামেরাও লাগানো হয়, কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসির কোনও পাত্তা ছিল না। আমরা অন এয়ার যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। সাক্ষাৎকার শুরু হওয়ার যে নির্ধারিত সময় ছিল, তার থেকে ৪০ মিনিট পর প্রেসিডেন্টের এক সহকারী আসেন এবং আমায় বলেন যে পবিত্র মহরমের মাস থাকায় ও সফর চলায়, আমি যেন মাথায় হিজাব পরি। কিন্তু আমি সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিই।”
And so we walked away. The interview didn’t happen. As protests continue in Iran and people are being killed, it would have been an important moment to speak with President Raisi. 7/7 pic.twitter.com/kMFyQY99Zh
— Christiane Amanpour (@amanpour) September 22, 2022
ক্রিস্টিয়ানের কথায়, প্রেসিডেন্ট রাইসির যে সহকারি এসেছিলেন, তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মাথায় হিজাব না পরলে সাক্ষাৎকার নিতে দেওয়া হবে না। এটা সম্মানের বিষয়। ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু ওই সংবাদপাঠিকা অপ্রত্যাশিত ও অবিবেচকের অনুরোধ মানতে রাজি হননি। এরপরই বাতিল করে দেওয়া হয় সাক্ষাৎকার।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ইরানে মহিলাদের হিজাব পরা সহ একাধিক নিয়ম নিয়ে নতুন করে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ইরানের মহিলাদের হিজাব পরা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন। কিন্তু মাহসা আমিনি নামক ২২ বছরের এক তরুণী এই নিয়ম না মানাতেই, তাঁকে আটক করে পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। পরে পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এরপর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ইরানে। নীতি পুলিশির প্রতিবাদে ইরানের মহিলারা হিজাব পুড়িয়ে ও চুল কেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।