Afghanistan: ২০২২-এর মধ্যেই কী পরিণতি ৯৭ শতাংশ আফগানের? বিপদের বার্তা রাষ্ট্রপুঞ্জের

Afghanistan: সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি না বদলায়, তাহলে ২০২২-এর মধ্যে দারিদ্র্যের মুখোমুখি হবে ৯৭ শতাংশ আফগান।

Afghanistan: ২০২২-এর মধ্যেই কী পরিণতি ৯৭ শতাংশ আফগানের? বিপদের বার্তা রাষ্ট্রপুঞ্জের
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 7:34 AM

রাষ্ট্রপুঞ্জ: তালিবান (Taliban) যে ক্রমশ এগোচ্ছে, সে কথা জানা ছিল। তবে এ ভাবে রাতারাতি কাবুলের (Kabul) মসনদে তারা প্রবেশ করবে, তেমনটা বোধহয় আঁচ করেনি কেউই। তারপর গত এক মাসে যে ছবি উঠে এসেছে, তা থেকে স্পষ্ট যে আফগানিস্তানের মাটিতে নিজেদের জমি আরও শক্ত করতে চায় তালিবান। পঞ্জশীরও (Panjshir) রেহাই পায়নি এ বার। সেখানেও প্রবেশ করেছে তালিবান। এই অবস্থায় আফগানদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। তালিবান দখল নেওয়ার পর দেশ ছেড়েছেন বহু আফগান। কিন্তু, রয়ে গিয়েছেন অনেকেই। কী হবে তাঁদের পরিণতি, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (UNDP) এক বার্তায় জানিয়েছে এ ভাবে চলতে থাকলে ২০২২-এর মধ্যে চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি হবে অন্তত ৯৭ শতাংশ আফগান।

গত ৯ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে ইউএনডিপি-র তরফে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কী চরম অর্থসঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারেন আফগানরা। দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। ইউএনডিপি-র ডিরেক্টর তথা রাষ্ট্রপুঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল কান্নি উইগনারাজা এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, ‘মানবিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আফগানিস্তানের অন্তত অর্ধেক বাসিন্দার মানবাধিকার সংক্রান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে যে সব দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল অর্থাৎ যে সব দেশের সঙ্গে আমদানি বা রফতানি চলত, তাদের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে তালিবান আসার পর। পাশাপাশি খরা ও করোনা পরিস্থিতিতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সে দেশের অর্থনীতিতে।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের মোট খরচের একটি বড় অংশই আসত বিদেশি সাহায্য থেকে। তবে গত ১৫ অগস্ট তালিবান আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পরই সেই অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে সেই সমস্ত দেশ। আমেরিকা ও আরও সাতটি দেশ যৌয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আফগানিস্তানের অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেয়। আফগানিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদও পড়ে রয়েছে বিভিন্ন দেশে। তাই এই অবস্থায় সরকার গঠন হলেও আফগানিস্তান কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জ সতর্ক করে জানিয়েছে, দ্রুত টাকা জোগাড় করতে না পারলে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বে আফগানিস্তান।

আফগানিস্তানে নয়া সরকার গঠনের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তালিবান। কারা সেই সরকারের মাথায় থাকবে সেই তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছে তারা। সেই সরকার গঠন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত জানিয়েছে, যাতে সমাজের সব স্তরের মানুষ সরকার গঠনের গুরুত্ব পায়, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড রেগে ছিল ওরা, ছোট্ট কুঠুরি নিয়ে গিয়েই শুয়ে পড়তে বলল, তারপর… তালিব বর্বরতার কথা শোনাল আহত সাংবাদিকরা