AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড: দোষী সাব্যস্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ, ‘যুগান্তকারী রায়’ আদালতের

ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে যে তিন অভিযোগ ছিল তার প্রত্যেকটিই আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড: দোষী সাব্যস্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ, 'যুগান্তকারী রায়' আদালতের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 21, 2021 | 10:47 AM
Share

মিনিয়াপোলিস: গত বছর মে মাসের শেষের দিকে সারা আমেরিকা জুড়ে উঠেছিল ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটারস’ স্লোাগন। আন্দোলন আমেরিকা ছাড়িয়েও পৌঁছে গিয়েছিল বিশ্বের কোণে কোণে। সারা বিশ্ব জুড়ে উঠেছিল কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের বিচারের দাবি। অবশেষে বিচার মিলল। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ডেরেক শভিনকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল ১২ সদস্যের জুরি প্যানেল।

ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে যে তিন অভিযোগ ছিল তার প্রত্যেকটিই আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ অনিচ্ছাকৃত খুন, ‘থার্ড ডিগ্রি’ খুন ও ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ নরহত্যা, এই তিন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ডেরেক শভিন। এর মধ্যে ‘থার্ড ডিগ্রি’ খুনে তার সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও এখনও সাজা ঘোষণা করেনি। পরবর্তী ৮ সপ্তাহের মধ্যে সাজা ঘোষণা হবে তার। আপাতত পুলিশি হেফাজতে ডেরেক।

ডেরেক আদালতে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই বিচার পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অগণিত ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটারস’ আন্দোলনকারীরা। এই রায়কে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছেন ফ্লয়েড পরিবারের আইজীবী। ডেরেক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টুইট করে লিখেছেন, “আজ জুরি একেবারে ঠিক কাজ করেছেন। তবে আসল ন্যায় আরও অনেক কিছু চায়।” বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অভিবাদন জানিয়েছেন জুরির এই রায়কে অভিবাদন জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, “এই রায় আমেরিকাকে এক পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে গেল।”

আই ক্যানট ব্রিথ: ২৫ মে, ২০২০। জাল নোটে ব্যবহার করার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করে পুলিশ। এরপর একটি গাড়ির তলায় শুইয়ে তাঁর ঘাড়ে হাঁটু চাপা দিয়ে বসে থাকে পুলিশ আধিকারিক ডেরেক শভিন। নারকীয় হত্যালীলা দেখতে থাকেন আরও ৩ পুলিশকর্মীও। জর্জ ফ্লয়েডের ‘আই ক্যানট ব্রেথ’ আর্তনাদের পরও কেউ এগিয়ে আসেননি। অবশেষে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে আমেরিকার সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটারস’ সংগঠিত হয়। যা খেলার মাঠ থেকে প্রত্যেক দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে যায়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হাতে আন্দোলন দমন করলেও তা কমেনি। গোটা বিশ্ব জুড়ে স্লোগান ওঠে ‘আই ক্যানট ব্রিথ।’

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত মনমোহন সিংয়ের সুস্থতা কামনায় টুইট ইমরান খানের