‘যারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান, তাদের যেতে দেওয়া হোক’, তালিবানের কাছে আবেদন আমেরিকা সহ ৬৫ দেশের

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আমরা সকলেই আফগানিস্তানের নাগরিক ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার দাবি জানাচ্ছি।

'যারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান, তাদের যেতে দেওয়া হোক', তালিবানের কাছে আবেদন আমেরিকা সহ ৬৫ দেশের
কাবুলে ভিসা অফিসের বাইরে ভিড়। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 9:15 AM

ওয়াশিংটন: তালিবান (Taliban) শাসনের ভয়ে যারা দেশ ছাড়তে চাইছেন, তাদের বিনা বাধায় যেতে দেওয়া হোক, রবিবার থেকে এই আবেদনই জানাচ্ছে আমেরিকা সহ বিশ্বের ৬৫টি দেশ।

রবিবার আমেরিকার তরফে ৬৫টি দেশের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে আফগানবাসীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে তালিবানদের কাছে। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন (Anthony Blinken) টুইটারে সেই যৌথ বিবৃতি শেয়ার করে লেখেন, “আমেরিকাও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিত হয়ে আবেদন জানাচ্ছে যে আফগান নাগরিক ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা, যারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন, তাদের যেন বিনা বাধায় যেতে দেওয়া হয়। যারা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের উপরই মানব সুরক্ষালর দায়িত্ব রয়েছে।”

বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, চিলি, কলোম্বিয়া, জাপান, ইটালি, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, কোস্টা রিকা, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ব্রিটেন, ইউক্রেন, ইয়েমেন, উগান্ডা সহ মোট ৬৫টি দেশ আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আমরা সকলেই আফগানিস্তানের নাগরিক ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার দাবি জানাচ্ছি। যারা দেশ ছাড়ছেন, তাদের যেন কোনওরূপ শাস্তির মুখে না পড়তে না হয় এবং বিনা বাধায় তাদের যেতে দেওয়া হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে যারা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের কাছে নাগরিক সুরক্ষার আবেদন জানানো হচ্ছে। বিমানবন্দর, রাস্তা ও সীমান্তগুলি যাতে খুলে দেওয়া হয়, তার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

তালিবানরা দেশের সবকটি সীমান্ত দখল নেওয়ায় সড়কপথ কার্যত ফাঁকা। আফগানবাসীর কাছে একমাত্র ভরসা কাবুল বিমানবন্দর। আমেরিকা, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশেরস তরফে নিজেদের দেশের প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। রবিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্মেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই সমস্ত দূতাবাসের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত রয়েছেন। তাদের সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করছে মার্কিন সেনা বাহিনী।

ইতিমধ্যেই গতকাল দুপুর থেকেই বিমানবন্দরের ভিসা অফিসে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সকলেরই একটিই আবেদন, তালিবান শাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে তারা অন্য দেশে আশ্রয় নিতে চান। ইতিমধ্যেই কানাডার তরফে জানানো হয়েছে, তারা ২০ হাজার আফগান নাগরিককে আশ্রয় দিতে রাজি। তবে শয়ে শয়ে যেভাবে আফগান নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন সীমান্তে জড়ো হয়েছেন, তাতে প্রতিবেশি দেশ ইরান, পাকিস্তান থেকে শুরু হয়ে আমেরিকা-ইউরোপেও শরনার্থী ঢেউ পৌঁছে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘আমি থাকলে এই পরিস্থিতি তৈরিই হত না’, ‘ব্যর্থ’ সেনা প্রত্যাহারে বাইডেনের পদত্যাগের দাবি ট্রাম্পের