Weight Loss: স্লিমের নেপথ্যে স্লিপ! কয়েক মাসেই ১১৪ কেজি থেকে হলেন ৫২ কেজির তন্বী
Weight Loss Challenge: ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই কয়েকদিনের মধ্যে তিনি জানতে পারেন, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত তিনি। এরফলে তাঁর ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
ওয়াশিংটন: স্লিপে চড়তে ভয় পাচ্ছিল ছোট্ট ছেলে, সাহস জোগাতে তাই নিজেও স্লিপে চড়েছিলেন। কিন্তু সামান্য একটু নামতেই আটকে যান। অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্লিপের মাঝখানে আটকে যান বছর ২৫-র সারা। বাধ্য হয়ে স্বামীর সাহায্য চাইতে হয়। টেনে-হিঁচড়ে কোনওমতে স্লিপ থেকে নামান তাঁকে। ছেলের সামনে এমন অপ্রস্তুতকারক পরিস্থিতিতে পড়ে লজ্জায় মাথা কাটা গিয়েছিল। সেই সময়ই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যেভাবেই হোক, ওজন কমাবেন। কয়েক মাসেই তা সত্য়িও করে দেখালেন। ১১৪ কেজি থেকে নিজের ওজন কমিয়ে আনলেন ৫২ কেজিতে। মাত্র কয়েক মাসেই কঠোর পরিশ্রমে তিনি ৬২ কেজি ওজন কমিয়ে ফেললেন।
ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দা সারা লকেটের ওজন ছিল ১১৪ কেজি। গর্ভবতী হয়ে পড়ার কারণেই তাঁর এতটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান সারা। নিজের ওজন নিয়ে খুব একটা সচেতন না হলেও, একদিন ছেলের সঙ্গে পার্কে খেলতে গিয়ে স্লিপের মধ্যে আটকে পড়েন। তাঁর স্বামী এসে উদ্ধার করেন কোনওমতে। ওই মুহূর্ত তাঁর মনে গেঁথে যায়। সেই মুহূর্তেই তিনি স্থির করেন যে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কিছু একটা করতেই হবে তাঁকে।
দুই সন্তানের মা সারা লকেট জানান, সম্প্রতিই তাঁর গ্যাস্ট্রিক স্লিভ সার্জারি হয়েছে। দুইবার গর্ভবতী হওয়ার কারণেই তাঁর ওজন এত বেশি বেড়ে যায়। সেই সময় তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেহ ধরা পড়ে। কোনও নির্দিষ্ট ডায়েট প্ল্য়ান অনুসরণ করতেন না, যখন হাতের সামনে যা পেতেন, তাই খেতেন। এমনও অনেকদিন হত যে বিকেলেই তিনি দুইবার ডিনার করে ফেলতেন। কখনও আবার অনেক বেশি স্ন্যাক্সস খেয়ে ফেলতেন। দিনে প্রায় ৩ হাজার ক্যালোরি গ্রহণ করতেন তিনি। সকালে পপ টার্ট থেকে শুরু করে দুপুরে বার্গার, চিকেন নাগেটস ও সোডা খেতেন। কিন্তু স্লিপে আটকে যাওয়ার ওই ঘটনার পরই তিনি নিজের ডায়েট চার্ট বদল করার সিদ্ধান্ত নেন।
View this post on Instagram
ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই কয়েকদিনের মধ্যে তিনি জানতে পারেন, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত তিনি। এরফলে তাঁর ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে ওঠে। সেই সময়ই চিকিসকরা গ্যাস্ট্রিক স্লিভ সার্জারির পরামর্শ দেন ওজন কমানো ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে।
তিনি বলেন, “২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমার অস্ত্রোপচার করা হয়। জীবনবিমা থাকায় তাঁর খরচের ৯৮ শতাংশই বিমা সংস্থা বহন করে। প্রথমে এই অস্ত্রোপচার নিয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। একদিকে যেখানে খুব উৎসাহ ছিল, তেমনই আবার অস্ত্রোপচারের পর জীবনযাত্রা ও খাবারের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে, সে বিষয়েও সচেতন ছিলেন।”
অস্ত্রোপচারের পর প্রথম ধাপে সম্পূর্ণ তরল ডায়েটে ছিলেন বলেই জানিয়েছেন সারা। পরে ধীরে ধীরে নরম খাবার খাওয়া শুরু করেন। কঠোরভাবে ডায়েট শুরু করার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমতে শুরু করে।