Donald Trump: জনমতে ‘জিতে’ ফের টুইটার-ময়দানে, ইলন ‘ফেরালেও’ ফিরছেন না ট্রাম্প
Twitter: অ্যাকাউন্ট চালু হওয়ার পর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাঁর টুইটারে ফেরার আর কোনও আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, "ফেরার কোনও কারণ দেখছি না আমি..." ।
ওয়াশিংটন: প্রায় দুই বছর ধরে টুইটারে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরে। তবে টুইটারের মালিকানা বদল হতেই ভাগ্য ফিরেছে ট্রাম্পের। অবশেষে তাঁর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক। রবিবার সকালেই তিনি টুইট করে জানান, জনমতের ভিত্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। এর কিছুক্ষণ পরই দেখা যায়, টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্য়াকাউন্ট পুনরায় দেখা যাচ্ছে। তবে দুই বছর নির্বাসিত থাকার পর আর টুইটারে ফিরতে চান না প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। টুইটার অ্যাকাউন্ট আনব্লক হতেই এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।
শনিবারই টুইটারে একটি ‘অপিনিয়ন পোল’ তৈরি করেন ইলন মাস্ক। সেখানে তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন যে টুইটারে কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফিরিয়ে আনা উচিত? একদিনের পোলে দেখা যায়, ৪৮.২ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পকে না ফেরানোর পক্ষেই মত দেন। ৫১.৮ শতাংশ মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার স্বপক্ষেই মত দেন।
The people have spoken.
Trump will be reinstated.
Vox Populi, Vox Dei. https://t.co/jmkhFuyfkv
— Elon Musk (@elonmusk) November 20, 2022
কিন্তু অ্যাকাউন্ট চালু হওয়ার পর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাঁর টুইটারে ফেরার আর কোনও আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, “ফেরার কোনও কারণ দেখছি না আমি…” । জানা গিয়েছে, নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-ই ব্যবহার করবেন। ট্রাম্প মিডিয়া ও টেকনোলজির তরফেই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছেন, টুইটারের তুলনায় অনেক বেশি “এনগেজমেন্ট” রয়েথে ট্রুথ সোশ্যালে।
সম্প্রতিই ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিজকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেন। ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা অধিগ্রহণের পরই ট্রাম্প তাঁর প্রশংসা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি সবসময়ই ইলন মাস্ককে পছন্দ করতেন। তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, টুইটারে বট, ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মতো একাধিক সমস্যা রয়েছে।