Viral Video: লন্ডনের বুকে ইংরেজ ডাক্তারের মুখে এত ঝরঝরে বাংলা, না দেখলে বিশ্বাস হবে না
London doctor speaking in fluent Bengali: ঝরঝর করে বাংলা বলছেন ইংরেজ মহিলা! তাও আবার বাঙাল টানে। কোথায় কীভাবে শিখলেন তিনি, দেখুন ভিডিয়োতে।
লন্ডন: ঝরঝর করে বাংলা বলছেন ইংরেজ মহিলা! খাঁটি বাঙাল টানে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। লন্ডনের বুকে বসে বাঙালি সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলতে দেখা গিয়েছে ওই ইংরেজ মহিলাকে। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম ডা. অ্যানা লিভিংস্টোন। এই জেনারেল ফিজিশিয়ান এক সময় পূর্ব লন্ডনের লাইমহাউস হাসপাতালে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সময়ই বাঙালি রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে বাংলা শিখেছিলেন তিনি। এখন অবসর নিয়েছেন, তাও বাংলাটা ভুলে জাননি। আর বাংল ভাষা তাঁর খুব ভাল লাগে বলেও জানিয়েছেন এই ইংরেজ চিকিৎসক।
ডা. অ্যানা লিভিংস্টোনকে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নেত্রী হালিমা খান। তাঁর পোস্ট করা ১ মিনিটের ভিডিয়ো ক্লিপটিতে ডা. লিভিংস্টোনকে কদাচিত ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। ডা. লিভিংস্টোন জানিয়েছেন, গত শতাব্দীর আটের দশকে লাইমস্টোন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রথমে চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্রী হিসেবে, পরে জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে। সেই সময়ে সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের ভিড় বাড়ছিল। সেই রোগীরা এক বর্ণ ইংরাজি বলতে বা বুঝতে পারতেন না। অন্যদিকে, ভাষা না জানা থাকায় তাঁদের অভিযোগও বুঝতে পারতেন না ডা. লিভিংস্টোন। তার উপর কোনও দোভাষীও ছিল না। ফলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অসুবিধা হত। এই অসুবিধা দূর করতেই একটু একটু করে বাংলা শিখেছিলেন ডা. লিভিংস্টোন।
@ApsanaBegumMP please find her and give her an award. I want to at least know her name. Her contributions to society is outstanding and it came from a pure, selfless, kind heart! ? In a time where there is so much negativity, we desperately need more heroes as examples. She is… https://t.co/U687cqElyd
— Halima Khan (@HalimaNyomi) March 8, 2023
হালিমা খান জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বাঙালি রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য এই ইংরেজ মহিলা ডাক্তার বাংলা শিখেছিলেন শুনে আবেগে তাঁর চোখে জল চলে এসেছিল। লেবার পার্টির এই নেত্রী, ডা. লিভিংস্টোনকে এক পবিত্র এবং নিঃস্বার্থ মানুষ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে, এই ইংরেজ চিকিৎসককে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার জন্য, ওই এলাকার লেবার পার্টির সাংসদ আপসানা বেগমের কাছে অনুরোধ করেছেন। হালিমা বলেছেন, “সমাজে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। এক বিশুদ্ধ, নিঃস্বার্থ, সদয় হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। বর্তমানে চারিদিকে এত নেতিবাচকতা, এই সময়ে উদাহরণ হিসাবে আমাদের আরও নায়কের প্রয়োজন। আরও অনেকের মতো তিনিও এমন এক নায়ক, যাঁর কথা আমরা জানি না। তিনি বাংলার মতো কঠিন ভাষা শিখেছেন বলে অনেকের প্রাণ রক্ষা হয়েছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় যারাই এই ভিডিয়োটি দেখেছেন, ডা. অ্যানা লিভিংস্টোনের পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। ডা. হেলেন স্যালসবেরি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তিনিও আটের দশকে লনডনে থাকাকালীন সিলেটি বাংলা শিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু, পরে অন্যত্র চলে যান, আর বাংলা শেখা হয়নি। অনেকেই বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বিভেদকামী পোস্টের মধ্যে, এইরকম একটি ইতিবাচক পোস্ট দেখা অত্যন্ত সৌভাগ্যের।