Facebook Whistleblower: আমার-আপনার সুরক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ফেসবুক! গোপন নথি ফাঁস করে বিস্ফোরক দাবি মহিলার

Facebook: শিশুদের মানসিক ক্ষতি হচ্ছে জেনেও শুধু ব্যবসায়িক লাভের কথাই চিন্তা করে ফেসবুক। এমনটাই দাবি করেছেন ফ্রান্সেস হগান নামে এক মহিলা।

Facebook Whistleblower: আমার-আপনার সুরক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ফেসবুক! গোপন নথি ফাঁস করে বিস্ফোরক দাবি মহিলার
সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করলেন ফ্রান্সেস হগান (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 10:53 AM

নিউ ইয়র্ক: ফেসবুকের (Facebook) আগে যে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কিছুই ছিল না তেমনটা নয়। তবে ফেসবুক জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর অনেক সংস্থাই পাল্লা দিতে পারেনি। দিনে দিনে বিস্তার বাড়িয়েছে ফেসবুক। নিছক গল্প-আড্ডা বা বিনোদন নয়, অনেকের জন্যই কাজ বা ব্যবসার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক। ওয়ার্কপ্লেস (Workplace) বা মার্কেটপ্লেসের (Marketplace) মতো ফিচার ফেসবুকের গুরুত্ব বাড়িয়েছে অনেকটাই। তবে ফেসবুকের কু-প্রভাব যে আলোচিত হয় না, তা নয়। ফেসবুক জুড়ে হিংসার ছড়ানোর রসদ, কিংবা ইন্সটাগ্রামের (Instagram) মোহ যে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষতি করছে, তেমনটা মনে করেন অনেকেই। তবে এবার একেবারে নথি দিয়ে সে কথাই প্রমাণ করেছেন এক মহিলা। ফেসবুকের কিছু গোপন নথি তিনি আগেই দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। তখনও তাঁর নাম গোপন ছিল। এবার একেবারে সংবাদমাধ্যমে সশরীরে হাজির হয়ে সেই গল্পই শোনালেন ফ্রান্সেস হগান (Frances Haugen) নামে ওই মহিলা।

৩৭ বছর বয়সি ডেটা সায়েন্টিস্ট ফ্রান্সেস ফেসবুকে কাজ করেছেন। ফেসবুক ছাড়াও গুগল ও পিন্টারেস্টেও কাজ করেছেন তিনি। তবে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের থেকে খারাপ সংস্থা আমি আর দেখিনি। তিনি দাবি করেছেন, ‘ফেসবুক বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তারা নিরাপত্তার থেকে বেশি জোর দেয় লাভে।’ তিনি মনে করেন, ফেসবুক আমাদের সমাজকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে আর বিশ্ব জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। কিছুদিন আগেই কিছু নথি ফ্রান্সেস তুলে দেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হাতে। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, ফেসবুকের অধীনস্থ সংস্থা ইনস্টাগ্রাম যে কী ভাবে অল্প বয়সি মেয়েদের ক্ষতি করছে, তা সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ফেসবুক।

ফ্রান্সেস আরও জানিয়েছেন, ফেসবুকে কোন পোস্ট কত বেশি ‘রিঅ্যাকশন’ পাচ্ছে, সেটায় নজর দেয় ফেসবুক। সংস্থার রিসার্চ টিম দেখেছে, ব্যবহারকারীদের ‘অ্যাঙ্গার’ রিঅ্যাকশন পাওয়া অন্যান্য রিঅ্যাকশনের থেকে অনেক বেশি সহজ। অর্থাৎ মানুষকে রাগিয়ে তোলাটাই সবথেকে সহজ, সেটা জানে ফেসবুক। ফ্রান্সেসের দাবি, এমন রিসার্চের ফলাফল দেখেই ফেসবুক বুঝে গিয়েছে যে, যদি নিরাপদ করে তোলা হয়, তাহলে মানুষ রিঅ্যাকশন কম দেবে, বিজ্ঞাপনে কম ক্লিক হবে আর ফেসবুকের ঘরে টাকা আসবে কম।

শুধু তাই নয়, ফ্রান্সেস উল্লেখ করেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ফেসবুক বুঝে গিয়েছিল যে স্পর্শকাতর হতে পারে কিছু কনটেন্ট। তাই দ্রুত সেসব মুছে ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটতেই আবার পুরনো ফর্মে ফিরে আসে।

এরই মধ্যে আবার প্রযুক্তিগত সমস্যায় টানা ৬-৭ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক। এই দুই কারণে সংস্থার শেয়ারও নেমে গিয়েছে অনেকটাই। সোমবার একধাক্কায় ৪.৯ শতাংশ নেমে যায় সংস্থার শেয়ার। সেপ্টেম্বর মাসে মাঝামাঝি থেকে এখনও পর্যন্ত ফেসবুকের মোট শেয়ার নেমেছে ১৫ শতাংশ। সোমবার ফেসবুক কর্তার যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ নেমে এসেছে ১২০০ কোটি ডলারে।

আরও পড়ুন: Mark Zuckerberg: ৬ ঘণ্টায় ৬০০ কোটি ডলার! জুকারবার্গের কপাল পুড়তেই মুচকি হাসি বিল গেটসের