AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mian Muhammad Mansha: অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কলকাতার ‘শিকড়’-ই ভরসা পাকিস্তানের

Mian Muhammad Mansha: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্ধকারের মধ্যে, পাকিস্তানের একমাত্র আশার আলো মিয়াঁ মহম্মদ মানশা। যাঁকে বলা হয় পাকিস্তানের মুকেশ অম্বানি।

Mian Muhammad Mansha: অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কলকাতার 'শিকড়'-ই ভরসা পাকিস্তানের
'পাকিস্তানের মুকেশ অম্বানি', মিয়াঁ মহম্মদ মানশা
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 6:37 PM
Share

ইসলামাবাদ: অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। মিলছে না পর্যাপ্ত খাদ্য, পেট্রল পাম্পে নেই জ্বালানি তেল। মার্কিন ডলারের বিপরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে পড়ছে পাকিস্তানি টাকার দাম। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই অন্ধকারের মধ্যে, পাকিস্তানের একমাত্র আশার আলো মিয়াঁ মহম্মদ মানশা। যাঁকে বলা হয় ‘পাকিস্তানের মুকেশ অম্বানি’। এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। অন্যদিকে, মিয়াঁ মহম্মদ মানশা বিশ্বের ধনীতম পাকিস্তানি। সেই কারণেই তিনি পাকিস্তানের মুকেশ অম্বানি নামে পরিচিত। বর্তমানে, বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে ধার করে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলা করতে চাইছে পাক সরকার। এই অবস্থায় দেশকে একমাত্র রক্ষা করতে পারেন তিনিই, এমনটাই মনে করছে একটা বড় অংশের পাকিস্তানি। পাক সরকারও তাঁর উপর আস্থা রাখছে। আসলে ধার করে সাময়িকভাবে সঙ্কটের মোকাবিলা করা গেলেও, স্থায়ী সমাধানে উৎপাদন শিল্পের উন্নতি না ঘটানো ছাড়া উপায় নেই।

মজার বিষয় হল, এই মিয়াঁ মহম্মদ মানশা আদতে কলকাতার লোক। তার পরিবার কলকাতাতেই থাকত। ১৯৪৭ সালে এই শহরেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। দেশভাগের পর, তাঁর পরিবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে চলে এসেছিলেন। সেখানে তাঁর বাবা, নিশাত টেক্সটাইল মিলস নামে একটি বস্ত্র তৈরির কারখানা খুলেছিলেন। তাঁর পরিবারের অবস্থা ছিল যথেষ্ট সচ্ছল। তিনি পরবর্তী সময়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন পড়াশোনা করতে। বিজনেস ম্যানজমেন্টে স্থানক ডিগ্রি গ্রহণ করেছিলেন। তারপর পাকিস্তানে ফিরে এসে বাবার কাপড়ের কারখানার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেই ব্যবসাক তিনি কোটি কোটি মার্কিন ডলারের এন্টারপ্রাইজে পরিণত করেন। কাপড়ের ব্যবসার পাশপাশি ব্যাংকিং, বীমা, সিমেন্ট ও শক্তি ব্যবসায় পা রাখেন তিনি।

২০০৫ সালে, তিনি প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পাকিস্তানি হিসাবে আবির্ভূত হন। ২০০৮ সালে, মালয়েশিয়ার মেব্যাঙ্ক এবং এমসিবি ব্যাঙ্ক চালু করেছিলেন তিনি। ২০১০ সালে, ফোর্বস পত্রিকার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকাতেও স্থান করে নেন মানশা। তবে, সেই তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৯৩৭তম। এরপরই, তাঁকে পাকিস্তানের মুকেশ অম্বানি বলে ডাকা শুরু হয়। যদিও মুকেশ অম্বানির সম্পদের সঙ্গে তাঁর সম্পদের তুলনাই করা যায় না। তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, মুকেশ অম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮০০০০ কোটি ডলারেরও বেশি। তবে, তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় করদাতা।

পাকিস্তানের বাইরেও বহু দেশে তাঁর একাধিক সম্পদ রয়েছে। লন্ডনে একটি বিশাল এস্টেটও রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি তিনি মার্সিডিজ ই-ক্লাস, জাগুয়ার কনভার্টেবল, পোর্শে, বিএমডব্লিউ ৭৫০, রেঞ্জ রোভার এবং ভক্সওয়াগেন-সহ অনেক বহু বিলাস বহুল গাড়ির মালিক তিনি।