Shinzo Abe: বেসরকারি সংস্থার কর্মী থেকে প্রধানমন্ত্রী, একটা গুলি, ৬৮ বছরেই থেমে গেল জীবন!

japan shinzo abe: ১৯৮৭ সালে আকেই মাৎসুজাকিকে বিয়ে করেছিলেন শিনজ়ো আবে। সেই সময় আবের স্ত্রী রেডিও জকি হিসেবে কাজ করতেন। মাৎসুজাকির বাবা একটি চকোলেট কোম্পানির মালিক ছিলেন।

Shinzo Abe: বেসরকারি সংস্থার কর্মী থেকে প্রধানমন্ত্রী, একটা গুলি, ৬৮ বছরেই থেমে গেল জীবন!
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 4:24 PM

টোকিও: শুক্রবার পশ্চিম জাপানে এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় গুলিবিদ্ধ মারা গিয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু হতে পারে মনে করা হচ্ছিল। সেই সময় সরকারি তরফেও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও জানিয়েছিলেন, আবে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। শেষমেশ জানা যায়, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তেই জীবন যুদ্ধে পরাজিত হন আবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিনজ়ো অত্যন্ত সুসম্পর্ক। স্বাভাবিকভাবেই শিনজ়োর মৃত্যুর পর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। টুইট করে ‘প্রিয় বন্ধু’-কে বিদায় জানিয়েছেন তিনি কিন্তু কে এই শিনজ়ো আবে? কী ভাবে হল তাঁর রাজনৈতিক উত্থান? এক নজরে দেখে নেওয়া…

শুরুর জীবন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা

১৯৫৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর টোকিওতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবে। আবের পরিবার দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও আবের পরিবারের সদস্যরা রাজনীতির সঙ্গে সবরকমভাবে জড়িয়ে ছিলেন।

সেইকেই হাই-স্কুল থেকে পাশ করার পর ১৯৭৭ সালে সেইকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তিনি স্নাতক পাশ করেছিলেন। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়া থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ থেকে অবধি কোবে স্টিল নামের একটি সংস্থায় চাকরিও করেছিলেন আবে।

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৮৭ সালে আকেই মাৎসুজাকিকে বিয়ে করেছিলেন শিনজ়ো আবে। সেই সময় আবের স্ত্রী রেডিও জকি হিসেবে কাজ করতেন। মাৎসুজাকির বাবা একটি চকোলেট কোম্পানির মালিক ছিলেন। আবের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেই তাঁর স্বামীর বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। শারীরিক সমস্যার কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জাপানের আবে। আলসারেটিভ কোলাইটিসের কারণে ২০২০ সালের অগস্ট মাসে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আবে।

রাজনৈতিক জীবন

শিনজ়ো আবে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দেশের সবথেকে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। ২০০৬ থেকে ২০০৭ এবং পরবর্তীকালে ২০১২ থেকে ২০২০ অবধি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন আবে। ১৯৯৩ সালে প্রথমবারের জন্য এলডিপির হয়ে আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শিনজ়ো। সেই সময় থেকে দলের একটা বড় অংশ আবেকে তাদের নেতা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমির মন্ত্রিপরিষদের প্রধান সচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন আবে। এই সময়ে উত্তর কোরিয়া অপহৃত জাপানের নাগরিকদের তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক জীবনে আর তাঁকে  ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৬-২০০৭ এবং ২০১২-২০২০ অবধি তিনি জাপানের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও ক্যাবিনেট সচিব হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিদেশমন্ত্রীর বিশেষ সচিব, এলডিপির ব্যক্তিগত সচিব, এবং এলডিপি কাউন্সিলের চেয়ারপার্সনের সেক্রেটারি ছিলেন।