Shinzo Abe Assassinated: কেন হঠাৎ শিনজ়ো আবেকে হত্যা করল? জবানবন্দিতে কী জানাল আততায়ী?

Shinzo Abe Assassinated: শুক্রবার এক আকস্মিক হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবের। আততায়ী ৪১ বছর বয়সী এক প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী। কেন সে এই হামলা চালালো? কী জানিয়েছে সে?

Shinzo Abe Assassinated: কেন হঠাৎ শিনজ়ো আবেকে হত্যা করল? জবানবন্দিতে কী জানাল আততায়ী?
পালানোর চেষ্টাই করেনি আততায়ী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 3:57 PM

টোকিয়ো: শুক্রবার এক আকস্মিক হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবের। পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ নারা-য় এক জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই পিছন থেকে পরপর দুটি গুলি চালিয়েছিল আততায়ী। তারপর থেকেই আর সাড়া দিচ্ছিলেন না আবে। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মীরা অবশ্য আততায়ীকে দ্রুত গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে ৪১ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। কিন্তু, কেন এই হামলা চালাল সে? পুলিশের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিনজ়ো আবের প্রতি সে ‘অসন্তুষ্ট’ ছিল।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ঘরে তৈরি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশকে উদ্ধৃত করে জাপানি সরকারি টিভি চ্যানেল ‘এনএইচকে’ জানিয়েছে, তেতসুয়া ইয়ামাগামি নিজেই বন্দুকটি তৈরি করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ‘এনএইচকে’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের কাছে সে নিজের অপরাধ কবুল করেছে। সে বলেছে, ‘আমি শিনজ়ো আবের প্রতি ‘অসন্তুষ্ট’ ছিলাম। তাই তাঁকে গুলি করতে চেয়েছিলাম। তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তবে, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ নেই।’

হামলার পর অভিযুক্ত ইয়ামাগামি পালানোরও চেষ্টা করেনি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার বেশ কিছু টিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, আবের নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে মাটিতে চেপে ধরে রয়েছেন। ইয়িমাগামির পরণে ছিল ধূসর রঙের টি-শার্ট এবং বেইজ রঙের ট্রাউজার্স। বর্তমানে তাকে নারা নিশি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তার বাড়ি থেকেও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। জাপান পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে আততায়ীর সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে, জাপানি সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সবা জাপানি নৌবাহিনীর একজন প্রাক্তন জওয়ান। তিন বছর সে বাহিনীতে ছিল। ২০০৫ সালে অবসর নিয়েছিল।

এই ঘটনার আগে, শিনজ়ো আবে নারা শহরের একটি ট্রেন স্টেশনের বাইরে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। অন্যান্য ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়ে ফিরে পড়ে রয়েছেন আবে। তাঁর সাদা শার্ট ভেসে যাচ্ছে রক্তে। চারপাশে সমর্থকদের ভিড়। একজনকে তাঁর হার্ট ম্যাসাজ করতে দেখা যায়। এনএইচকে টিভি চ্যানেলকে প্রত্যক্ষদর্শী এক তরুণী বলেছেন, ‘তিনি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। একজন লোক পিছন থেকে এগিয়ে আসল। প্রথম গুলিটা খেলনার বন্দুকের গুলির শব্দের মতো শোনাল। একটা বড় বিস্ফোরণ হয়েছিল, কিন্তু তিনি পড়ে যাননি। পিছন দিকে হোঁচট খেয়েছিলেন। দ্বিতীয় গুলিটি স্পষ্ট দেখা গেল। আগুনের ফুলকি এবং ধোঁয়া সবটাই দেখা গেল। এরপর তিনি মাটিতে পড়ে যান।’