US-China Relation: ‘অপমান করলে শাস্তি পেতেই হবে’, তাইওয়ান আমেরিকাকে ‘রক্তচক্ষু’ চিনের

US-Taiwan Issue: প্রসঙ্গত, তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মনে করলেও এই বরাবরই এই দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন।

US-China Relation: 'অপমান করলে শাস্তি পেতেই হবে', তাইওয়ান আমেরিকাকে 'রক্তচক্ষু' চিনের
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2022 | 2:59 PM

বেজিং: মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেসেন্টিটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আমেরিকা-চিনের মধ্য বাদানুবাদ চলছিল। চিনা প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে একাধিকবার আমেরিকা হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বে মঙ্গলবার রাতেই তাইওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। বুধবার এই প্রসঙ্গে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ই বলেন, বেজিংকে যে বা যাঁরা অপমান করবে তাঁদের শাস্তি পেতে হবে। চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমে বুধবার এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। নমপেনে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই অবস্থান প্রহসন ছাড়াই কিছুই নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত ‘গণতন্ত্রের’ আড়ালে চিনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে। যাঁরা চিনকে অপমান করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।”

চিনের ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে এসেছেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। দীর্ঘ ২৪ বছর পর মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাইওয়ানে পা রেখেছেন। মঙ্গলবার তাইওয়ান পৌঁছেই শান্তির বার্তা নিয়ে পেলোসি বলেছিলেন, “আমেরিকার সর্বদা তাইওয়ানের পাশে রয়েছে।” বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার পেলোসির সফর বাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল করে হুমকির পথ বেছে নিয়েছিল বেজিং। বুধবার তাইওয়ান সংসদে পেলোসি বলেন, “তাইওয়ানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন এবং শান্তির বার্তা নিয়ে আমি এখানে এসেছি। আমরা আপনাদের কথা শুনতে চাই এবং আপনাদের থেকে শিখতে চাই। করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ে সাফল্যের জন্য আপনাদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সুরক্ষা ও সঠিকভাবে দেশ শাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করার জন্যও শুভেচ্ছা”

প্রসঙ্গত, তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মনে করলেও এই বরাবরই এই দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। পেলোসি চিন সীমান্ত সংলগ্ন তাইওয়ানের মাটিতে পা রাখতেই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সীমা পার করে আকাশে ২১টি চিনা সামরিক বিমান চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে, অন্যদিকে পেলোসির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দক্ষিণ চিন সাগরে ঢুঁ মারছে মার্কিন যুদ্ধবিমানও। রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো তাইওয়ান নিয়ে চিন-আমেরিকার মধ্যে সামরিক সংঘাত তৈরি হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।