AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World’s Oldest Living Man: ১১২ নট আউট! নাম উঠলো গিনিস বুকের পাতায়.

Guinness Book Of World Record, পেশায় স্যাট্যার্নিনো মুচি ছিলেন। নিজের এই দীর্ঘ জীবনের অনেকটা সময় তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফুটবল প্রেমী হিসেবে প্রথম থেকেই তাঁর এই খেলার প্রতি ঝোঁক ছিল।

World's Oldest Living Man: ১১২ নট আউট! নাম উঠলো গিনিস বুকের পাতায়.
ছবি-টুইটার
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 7:19 PM
Share

স্পেন: কেটে গিয়েছে ১১২ টি বসন্ত! কিন্তু বেঁচে থাকার লড়াইতে এখনও তিনি হার মানেননি। মৃ্ত্যু এখনও তাঁর থেকে সহস্র যোজন দূরে। শুধুমাত্র বেঁচে থাকার লড়াইতে এই দীর্ঘ বয়স পেড়িয়ে যাওয়াকে স্বীকৃতি দিল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ( Guinness World Records)। পৃথিবীর জীবিত সব থেকে বয়স্ক মানুষের (World’s Oldest Living Man ) শিরোপা পেলেন স্পেনের (Spain) স্যাট্যার্নিনো ডে লা ফুয়েন্টে গার্সিয়া (Saturnino de la Fuente García )। চলতি বছর, ১০ সেপ্টম্বর ১১২ বছর ২১১ দিন অতিক্রম করলেন তিনি।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মতে ১৯০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি স্পেনের পুয়েন্ত কাস্ত্রোতে (Puente Castro) জন্মগ্রহন করেন কিন্তু তিনি নিজে ৮ ফেব্রুয়ারি নিজের জন্মদিন পালন করতেন। তাঁকে এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে স্যাট্যার্নিনো ডে লা ফুয়েন্টে বলেন, ‘একটি শান্ত জীবন’।

স্যাট্যার্নিনোর উচ্চতা ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। এই কম উচ্চতার কারণেই ১৯৩৬ সালের স্পেনের গৃহ যুদ্ধে (Civil war in Spain) অংশগ্রহন করা থেকে তিনি বিরত থাকেন। এই যুদ্ধের সময় তিনি শান্তি নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে জীবন যাপন করেছিলেন। পেশায় স্যাট্যার্নিনো মুচি ছিলেন। নিজের এই দীর্ঘ জীবনের অনেকটা সময় তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফুটবল প্রেমী হিসেবে প্রথম থেকেই তাঁর এই খেলার প্রতি ঝোঁক ছিল। তাঁর উদ্যোগেই পুয়েন্ত কাস্ত্রোর একটি স্থানীয় ফুটবল টিম তৈরি করা হয়। কালচারাল লিওনসা নামক ফুটবল ক্লাবের সমর্থক ছিলেন স্যাট্যার্নিনো। দু’বছর আগে ক্লাবের সব থেকে বয়স্ক সদস্য হিসেবে তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছিল।

স্যাট্যার্নিনো ও তাঁর স্ত্রী অ্যান্টোনিয়ার এক পুত্র ও সাত কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু ছোটবেলাতেই তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাঁর এক কন্যা তাঁকে দেখাশুনা করেন। করোনা ভাইরাসের এই প্রকোপের কারণে শেষ ১৮ মাস তাঁকে অত্যন্ত সন্তর্পনে থাকতে হয়েছে। এই সময় তিনি কারোর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। কিন্তু তাঁর ১১২ তম জন্মদিন ধুমধাম করেই পালন করা হয়।.

আরও পড়ুন Nobel in Medicine: তাপ ও স্পর্শের অনুভূতির রিসেপ্টরের সন্ধান, চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী